Wednesday, September 9, 2009

| ঘড়ায়-ভরা উৎবচন…| ২১ – ৩০ |


| ঘড়ায়-ভরা উৎবচন…| ২১ – ৩০ |
রণদীপম বসু

.
(২১)
আফসোস হচ্ছে সেই ধুর্ততা,
সময়কে ধরতে না পেরে কপট ও মূর্খরা যা করে থাকে।
(২২)
মানুষকে পশু বানানোই মানুষের শ্রেষ্ঠ বিনোদন,
পশুরা তা জানলে তাদের নিজস্ব সমাজে
জঘণ্য গালিটা হবে ‘মানুষ’।
(২৩)
যার রক্ত দাসত্ব মুছতে পারে না
তার অনুরোধ হয় নির্দেশের স্বরে,
একজন স্বাধীন প্রভু নির্দেশ করে অনুরোধের সুরে।

(২৪)
যে নিজেকে ফাঁকি দেয়, সে অন্যকেও ফাঁকি দেয়;
যখন সে অন্যকে ফাঁকি দেয়,
আসলে সে নিজেকেই প্রতারিত করে।
(২৫)
যে পুরুষ নারীকে অবজ্ঞা করে, সে ধ্বংসকে আমন্ত্রণ জানায়;
নারীর প্রতি অনুগত যে, সে স্ত্রৈণ;
যে বিশ্বস্ত থাকে, আজীবন অন্ধত্বই নিয়তি তার।
সৃষ্টিশীল পুরুষেরা নতুন অপশনের খোঁজে জীবনটাই ব্যয় করে দেয়।
(২৬)
যে নারী পুরুষকে বিশ্বাস করে, সে বোকা;
যে অবিশ্বাস করে, সে নির্বোধ;
যে নির্ভর করে, সে অকর্মণ্য।
অথচ এর বাইরে নারীর জন্য কোনো অপশন রাখেনি পুরুষ।
(২৭)
অহঙ্কার সেই জ্বলজ্বলে বই, যার পাতায় পাতায়
অশ্লীল শব্দ আর অর্থহীন বাক্যের সমাহার।
(২৮)
মুদ্রাদোষ মানুষের একমাত্র স্মারক, যা তার পরিচয় বহন করে।
অসভ্য মানুষ এটাকে দোষ বলে প্রচার করেছে।
(২৯)
মানুষের ক্ষমতা তার স্বপ্নের চেয়ে বড় হয় না।
ক্ষমতা একরৈখিক, সীমাবদ্ধ; স্বপ্ন বহুমাত্রিক, অসীম।
স্বপ্নের দুর্বলতা হলো, তাকে টেনে নিচে নামানো যায় না।
(৩০)
উইগ, মাথার টাক ঢাকার সাথে সাথে মানুষের গুণগুলোও ঢেকে ফেলে।
ভণ্ড-ধার্মিকের মতো মানুষকে অভিনয়বাজ শয়তানে পরিণত করে।
...

[১১-২০][*][৩১-৪০]
...
[sachalayatan]
[somewherein | alternative]
...

No comments: