| ঘড়ায়-ভরা উৎবচন...|৮১-৯০|
রণদীপম বসু
...
(৮১)
ভুল হচ্ছে সেই শুদ্ধতম সম্ভাবনা
যা মানুষের পছন্দের তালিকায় আসে না কখনোই।
(৮২)
‘তেল দেয়া’ বিস্ময়কর এক প্রায়োগিক আর্ট,
সঠিকভাবে দিতে জানলে তা দাতাকেই তেল-চকচকে করে তুলে।
(৮৩)
ভুলে যাওয়া কঠিনতম কাজ;
চেষ্টা করে হয়তো কোনকিছু মনে করা যায়,
কিন্তু চেষ্টা করে ভুলে যাওয়া যায় না।
(৮৪)
কৈশোর আর বয়স্কের তফাৎ বয়সে নয়,
অনিশ্চয়তায় আর মৃত্যুচিন্তায়; যা কৈশোরে থাকে না।
অনিশ্চয়তা আর মৃত্যুচিন্তার ক্রমবর্ধমান তীব্রতা নিয়েই
মানুষ ক্রমান্বয়ে বয়স্ক হতে থাকে।
(৮৫)
বৈশ্যবৃত্তি আর বেশ্যাবৃত্তির মধ্যে পার্থক্য খুব সামান্য,
বানানের দুয়েকটা ‘কার’-চিহ্ণের ভিন্নতা ছাড়া;
উভয় বৃত্তির মৌল শব্দই ‘বশ’।
(৮৬)
মনুষ্যসমাজে শুকরের আধিক্য মানুষের নোংরামিকেই চিহ্ণিত করে;
যত্রতত্র বিষ্ঠা ছড়ালে বরাহ-দর্শন তো হবেই !
(৮৭)
মেরুদণ্ডী প্রাণীর পায়ের আধিক্য মেরুদণ্ডের অবনমনই নির্দেশ করে;
দুপেয়ে প্রাণীর উল্লম্ব ও ঋজু মেরুদণ্ড চতুষ্পদীতে আনুভূমিক হয়ে যায়।
(৮৮)
সৌন্দর্যবোধ হচ্ছে সেই নান্দনিক উপলব্ধি,
ভিন্ন আঙ্গিকে যা মানুষকে যৌন পরিতৃপ্তি দেয।
(৮৯)
জগতের যেকোন বস্তু বা প্রাণীকে ব্যবচ্ছেদ করলে
কার্যকর কিছু ধর্ম বা বৈশিষ্ট্য বেরিয়ে আসে;
মানুষের আচরিত ধর্মকে ব্যবচ্ছেদ করে তেমন কিছুই পাওয়া যায় না,
উদ্ভট কিছু গোঁড়ামি আর ভণ্ডামি ছাড়া !
(৯০)
না-জানার মধ্যে মূর্খতা নেই, জানার চেষ্টা না-করাটাই মূর্খতা;
আর মূর্খতার পরিচায়ক হচ্ছে গোঁয়ার্তুমি।
চিন্তক-অঙ্গে বৈকল্য আসলেই মানুষ গোঁয়ার্তুমিতে আক্রান্ত হয়।
...
[৭১-৮০][*][৯১-১০০]
...
[sachalayatan]
...
No comments:
Post a Comment