Thursday, January 21, 2010

| দুই-মেগাপিক্সেল…| ‌’স্বাধীনতার সংগ্রাম’ |



| দুই-মেগাপিক্সেল…| ‌’স্বাধীনতার সংগ্রাম’ |
রণদীপম বসু

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার চমৎকার নিরিবিলি জায়গাটায় বিরাট সড়ক-দ্বীপের বিস্তৃত ক্ষেত্র জুড়ে নির্মাণ করা ‘স্বাধীনতার সংগ্রাম’ (swadhinotar sangram) নামের বিশাল ভাস্কর্যটা ঘিরে ছোট ছোট এতগুলো ভাস্কর্য ছড়িয়ে আছে যে, দুই-মেগাপিক্সেলের ছোট্ট ফ্রেমে সবগুলো একসাথে বেঁধে নেযা রীতিমতো বিব্রতকর। কিন্তু লোভ বড় খারাপ জিনিস। লোভে পড়েই গুলিয়ে ফেললাম সব। কিন্তু একটি একটি করে ছবি তুলে গোটা আবহটাকে আটকে নেয়াও তো সম্ভব নয় ! ১৬ ডিসেম্বর ২০০৯। চারদিকে বিজয় দিবসের বিপুল আয়োজনের প্রস্তুতিময় দুপুরে এখানে এসে পড়লামই যখন, কী আর করা ! বাদাইম্যা আঙুল কি আর বশ মানে ! অতঃপর একেবারে লেজে-গোবরে অবস্থা !
সেই কয়েকটি ক্লিক-মুহূর্ত:

























শেষ পর্যায়ে দুই-মেগাপিক্সেলটা ক্লিক করে নামাতেই পেছন থেকে মন্তব্য- ‘ইশ ! আর একটু সময় যদি থাকতেন !’ পেছন ফিরে অপরিচিত চার তরুণ-তরুণীর একজনের মুখে ‘কেমন আছেন রণ’দা ?’ তখনো ডিজিটাল ক্যামেরাটা আমার দিকে তাক করা। আমি তো একেবারে হা ! চিনিলো কী করে ! হাতে ক্যামেরা, মাথায় পট্টি বাঁধা তরুণটি হাত বাড়িয়ে বললো- ‘নির্জন স্বাক্ষর’। অন্য ছবিয়ালও হাত বাড়ালো- অনুপম ত্রিবেদী। তৃতীয় তরুণও তা-ই। শুধু চতুর্থ তরুণীটি হাতও বাড়ালো না, কিছু বললোও না। কেবল মুচকি মুচকি হাসছিলো, সম্ভবত আমার হা-হয়ে থাকাটা তখনও বন্ধ হয় নি দেখে। ওরা বেরিয়েছে বিজয় দিবসকে ক্যামেরাবন্দী করতে। শেষে কিনা বদসুরত আমাকেই !




এদের ছবি দেখে মনে হতে পারে গাঁঠছড়াটা মাঝের দুজনের মধ্যে। আসলে সবুজ পাঞ্জাবি অনুপমই রোয়েনার সাথে এক সূত্রে গাঁথা। তাদের জন্যে শুভকামনা।


কিন্তু আমি তো সুতো আলগা মানুষ ! আমার যে আরো পথ ভাঙা বাকি ! তাই স্মৃতিটা নিয়েই ফিরে চললাম অন্যদিকে।

No comments: