Tuesday, February 16, 2010

| ঘড়ায়-ভরা উৎবচন...| ১২১ - ১৩০ |

| ঘড়ায়-ভরা উৎবচন...| ১২১ - ১৩০ |
-রণদীপম বসু

...
(১২১)
মেয়াদোত্তীর্ণ হলে অমৃতও বিষ হয়ে যায়;
আর মেয়াদোত্তীর্ণ বিষ কী হতে পারে তার উৎকৃষ্ট নমুনা বোধহয়
কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তার নামে পুরুষতন্ত্রের রচিত, প্রবর্তিত ও ব্যবহৃত
অলৌকিক ধর্মগুলো।

(১২২)
প্রচলিত ধর্মগ্রন্থগুলোতে সম্ভবত কোন মানুষের কাহিনী নেই;
আছে ভোগলিপ্সু পুরুষ-প্রভু আর ভোগ্যপণ্য নারী-দাসীর কথা।

(১২৩)
ভাবুকদের জন্য কোলাহলপূর্ণ ড্রয়িংরুমের চেয়ে
নিরিবিলি টয়লেটও উত্তম।


(১২৪)
ক্রিড়া-প্রতিযোগিতায় নান্দনিকতা খোঁজে বুদ্ধুরা;
হারজিৎ যেখানে মুখ্য, নান্দনিকতা সেখানে অর্থহীন।

(১২৫)
অহঙ্কার মূর্খের সম্বল, বিনয় জ্ঞানীর অলঙ্কার; তাই
মূর্খরাই বরাবর জ্ঞানীকে অপমান করে জানান দেয়
সে মূর্খ।

(১২৬)
অর্থের সক্ষমতার উৎস হচ্ছে মেধা;
কিন্তু অর্থ অন্ধ বলে অবজ্ঞার মাধ্যমে মেধাকে অপমান করে।

(১২৭)
লেখক-পাঠক, পাঠক-প্রকাশক, প্রকাশক-লেখক
এই তিনটি সম্পর্ক ঘিরে গড়ে ওঠা আর্থিক সাম্রাজ্যের মূলে থাকেন লেখক;
অথচ এই সাম্রাজ্যের উপেক্ষিত ব্যক্তিটি হচ্ছেন লেখক।

(১২৮)
কষ্ট হচ্ছে নুনের মতো;
কষ্টের নুন না থাকলে সকল আনন্দই আসলে পানসে।

(১২৯)
চোখের ভাষার বিভেদটুকু ছাড়া
হাসি আর কান্নায় মৌলিক কোন পার্থক্য নেই।

(১৩০)
যে প্রশ্নের উত্তর প্রস্তুত থাকে
সেটা আসলে কোন প্রশ্নই নয়।

...
[১১১-১২০][*][১৩১-১৪০]
...
[sachalayatan]
... 

No comments: