.
| চার্বাকের খোঁজে…০২ | ভূমিকা: ভারতীয় দর্শন-সূত্র |
রণদীপম বসু
…
রণদীপম বসু
…
২.০ : ভারতীয় দর্শন-সূত্র
…
যদিও
‘Philosophy’ শব্দটিই ভারতবর্ষে দর্শন নামে পরিচিত, তবু এই Philosophy এবং
দর্শন- শব্দ দুটি ভারতীয় দর্শনের ক্ষেত্রে সমার্থবোধক নয় এবং এদের উৎসও এক
নয়। Philosophy শব্দের বুৎপত্তিগত অর্থ হলো জ্ঞানের প্রতি অনুরাগ (Love of
wisdom), আর ভারতীয় দর্শনের বিষয় বা উদ্দেশ্য হলো সত্য বা তত্ত্বোপলব্ধি।
‘দর্শন’ কথাটার সাধারণ অর্থ হলো দেখা বা প্রত্যক্ষ করা। কিন্তু যে-কোন
প্রকার দেখাকেই ‘দর্শন’ নামে অভিহিত করা যায় না। ভারতীয় মতে ‘দর্শন’ বলতে
বোঝায় আত্মদর্শন, অর্থাৎ আত্মাকে দেখা বা জানা। এর অর্থ আত্মাকে উপলব্ধি
করা। অতএব, দর্শন হলো সত্য বা তত্ত্বকে দেখা এবং তার স্বরূপ উপলব্ধি করা
অর্থাৎ সত্যের সাক্ষাৎ উপলব্ধি। আর যিনি সত্য বা তত্ত্বকে জীবনে উপলব্ধি
করেছেন তিনিই সত্যদ্রষ্টা বা তত্ত্বজ্ঞানী দার্শনিক। এই হলো ভারতীয় দর্শনের
দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি।
.
তবে
সত্য উপলব্ধির দার্শনিক প্রপঞ্চে ভারতীয় দর্শন-চিন্তার ক্রমবিকাশে প্রধানত
দুটি পরস্পর বিপরীত ধারা লক্ষ্য করা যায়। একটি হলো আস্তিক ধারা, অন্যটি
নাস্তিকপন্থি। বর্তমান প্রচলিত অর্থে যাঁরা ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন তাঁদেরকে
আস্তিক এবং যাঁরা ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন না তাঁদেরকে নাস্তিক বলা হলেও
প্রাচীন ভারতীয় দর্শনে আস্তিক ও নাস্তিক শব্দদুটি বর্তমান অর্থে নয়, বরং এক
বিশেষ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
.
এক্ষেত্রে
প্রাচীন ভারতীয় ব্যাকরণের সবচেয়ে বিখ্যাত গ্রন্থ পাণিনির ‘অষ্টাধ্যায়ী’র
সংশ্লিষ্ট ব্যাকরণসূত্র উল্লেখ করা যেতে পারে। পাণিনির প্রাচীনত্ব নিয়ে
দ্বিমত না-থাকলেও তার আনুমানিক সময়কাল ধরা হয় খ্রীস্টপূর্ব ৬০০-৪০০ এর
মধ্যে। পাণিনি তাঁর ব্যাকরণসূত্রে ‘অস্তি নাস্তি দ্বিষ্টং মতিঃ’-এর মাধ্যমে
দুটি বিপরীত মত-গোষ্ঠির উদ্ধৃতি টেনেছেন। এই সূত্রানুসারে ‘দ্বিষ্টং
পরলোকো অস্তি’ অর্থাৎ পরলোক আছে এরূপ বুদ্ধি বিশিষ্ট ব্যক্তিকে আস্তিক এবং
‘দ্বিষ্টং পরলোকো নাস্তি’ অর্থাৎ পরলোক নাই এরূপ বুদ্ধি বিশিষ্ট ব্যক্তিকে
নাস্তিক বলা হয়েছে।
.
পাণিনি
সূত্রের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে ব্যাকরণকার পতঞ্জলি (অন্যুন খ্রীস্টপূর্ব ১৫০)
তাঁর ‘মহাভাষ্য’ গ্রন্থে ‘আস্তিক’ ও ‘নাস্তিক’ শব্দের সংজ্ঞা সম্বন্ধে
কিছুটা আলোকপাত করেছেন। পতঞ্জলির মতে ‘অস্তি’ বা ‘আছে’ এই ধারণার বশবর্তী
লোকেরা আস্তিক এবং এর বিপরীত ‘ন অস্তি’ এই ধারণায় প্রভাবিত লোকেরা নাস্তিক
পদের দ্বারা অভিধেয় (মহাভাষ্য ৪/৪/১)। অর্থাৎ আস্তিকেরা যে বিশেষ বস্তু বা
ধারণার অস্তিত্ব স্বীকার করেন, সেগুলিকে স্বীকৃতি না-দেয়ার জন্য নাস্তিকেরা
স্বতন্ত্র এক গোষ্ঠির অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। পতঞ্জলির ‘মহাভাষ্যে’ এসবের
বিস্তৃত বিবরণ না থাকলেও অন্যান্য প্রাচীন গ্রন্থে নাস্তিক শব্দের ব্যাখ্যা
প্রসঙ্গে আরো কিছু আভাস পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে মহাভারত থেকে উদাহরণ দেয়া
যেতে পারে। মহাভারতের বিভিন্ন স্থানে (১২/১২/৫, ১২/২৬৯/৬৭, ১২/২৭০/৬৭)
নাস্তিকদের দ্বারা অস্বীকৃত বিভিন্ন ধারণার সঙ্গে বৈদিক সমর্থনকে যুক্ত
করার প্রয়াস দেখা যায়। যেমন-
বেদবাদাপবিদ্ধাংস্তু তান্ বিদ্ধি ভূশনাস্তিকান্।ন হি বেদোক্তমুৎসৃজ্য বিপ্রঃ সর্ব্বেষু কর্ম্মসু।। (মহাভারত : ১২/১২/৫)দেবযানেন নাকস্য পৃষ্ঠমাপ্নোতি ভারত!।অত্যাশ্রমানয়ং সর্ব্বানিত্যাহুর্বেদনিশ্চয়াঃ।। (মহাভারত : ১২/১২/৬)ব্রাহ্মণাঃ শ্রুতিসম্পন্নাস্তান্নিবোধ নরাধিপ!।বিত্তানি ধর্ম্মলব্ধানি ক্রতুমুখ্যেষ্ববাসৃজন্।। (মহাভারত :১২/১২/৭)।অর্থাৎ : সম্ভব থাকিলেও যাহারা কর্ম্ম ত্যাগ করিয়া সন্ন্যাস অবলম্বন করে, আপনি তাহাদিগকে বেদবাক্য পরিত্যাগী অত্যন্ত নাস্তিক বলিয়া অবগত হউন। ৫।ভরতনন্দন! বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণ সমস্ত কর্ম্মের মধ্যে বেদোক্ত কর্ম্ম পরিত্যাগ করিয়া দেবযানে স্বর্গে যাইতে পারেন না। বিশেষতঃ বেদবিশ্বাসী লোকেরা এই গৃহস্থাশ্রমকে সমস্ত আশ্রমের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বলিয়া থাকেন। ৬।নরনাথ! যে সকল ব্রাহ্মণ বেদজ্ঞানসম্পন্ন, আপনি তাঁহাদিগকে জানিয়া রাখুন। যাঁহারা ন্যায়ার্জিত ধর্ম উত্তম যজ্ঞে বিতরণ করিয়াছেন, তাঁহারাই বেদজ্ঞঅন-সম্পন্ন। ৭।
.এবং- ‘নাস্তিক্যমন্যথা চ বেদানাং পৃষ্ঠতঃ ক্রিয়া।’ (মহাভারত : ১২/২৬৯/৬৭)। ইত্যাদি।
.
এছাড়া
প্রাচীন গ্রন্থ মনুস্মৃতিও প্রকৃষ্ট উদাহরণ হতে পারে। সেখানে স্পষ্ট দেখা
যায়, মনুর মতে বেদনিন্দুকেরাই ‘নাস্তিক’ আখ্যায় অভিহিত হওয়ার যোগ্য-
যোহবমন্যেত তে মূলে হেতুশাস্ত্রাশ্রয়াদ্ দ্বিজঃ।
স সাধুভি র্বহিষ্কার্যো নাস্তিকো বেদনিন্দকঃ।। ২ / ১১।। (মনুসংহিতা)।
অর্থাৎ : যে দ্বিজ হেতুশাস্ত্র অর্থাৎ অসৎ-তর্ককে অবলম্বন ক’রে ধর্মের মূলস্বরূপ এই শাস্ত্রদ্বয়ের (শ্রুতি ও স্মৃতির) প্রাধান্য অস্বীকার করে (বা অনাদর করে), সাধু ব্যক্তিদের কর্তব্য হবে- তাকে সকল কর্তব্য কর্ম এবং সমাজ থেকে বহিষ্কৃত করা (অর্থাৎ অপাংক্তেয় ক’রে রাখা)। কারণ, সেই ব্যক্তি বেদের নিন্দাকারী, অতএব নাস্তিক।
.
বেদবিরোধী
নাস্তিকদের কার্যকলাপে বৈদিক ঐতিহ্যের ধারক বাহক মনুর সমর্থন না থাকাই যে
স্বাভাবিক তা মনুসংহিতার বিভিন্ন স্থানে নাস্তিকদের নির্দ্বিধ নিন্দা করার
মধ্যেই পরিস্ফুট হয়। যেমন-
অনপেক্ষিতমর্যাদং নাস্তিকং বিপ্রলুম্পকম্ ।
অরক্ষিতারমত্তারং নৃপং বিদ্যাদধোগতিম্ ।। ৮/৩০৯।। (মনুসংহিতা)।
অর্থাৎ : যে রাজা শাস্ত্রবিধি ও শিষ্টাচারের উপর প্রতিষ্ঠিত ধর্মব্যবস্থা রক্ষা করেন না, কিন্তু নাস্তিক এবং অযথা অন্যায় অর্থদণ্ডাদির দ্বারা যিনি প্রজাবর্গের ধন হরণ করেন, যিনি প্রজাগণকে রক্ষা করেন না, অথচ যিনি সেই প্রজাদের দ্রব্য সমূহের অত্তা অর্থাৎ ভোগকারী, এইরকম রাজা নরকে পতিত হয়েছেন বলে বুঝতে হবে।
.
উল্লেখ্য, মনুসংহিতার টীকাকার মেধাতিথি উপরিউক্ত শ্লোকে উল্লিখিত ‘নাস্তিক’ শব্দটির ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে-
‘নাস্তি পরলোকা নাস্তি দত্তং নাস্তি হুতমিতি নাস্তিকঃ।’ (মনুসংহিতা)।
অর্থাৎ : পরলোক বলে কিছু নেই, যাগ-দান-হোম এগুলিও কিছু নয়- এইরকম কথা যিনি বলেন এবং এই বিশ্বাসে যিনি চলেন তিনি নাস্তিক।
.
অতএব,
দেখা যাচ্ছে, বৈদিক ঐতিহ্যের প্রভাবপুষ্ট সকলের কাছে ‘নাস্তিক’ সংজ্ঞাটি
আসলে বৈদিক প্রাধান্যের বিরোধীদের অর্থেই ব্যবহার্য। ভারতীয় দর্শনগুলিকে
‘আস্তিক’ ও ‘নাস্তিক’ এই দুটি সুনির্দিষ্ট বিভাগে চিহ্নিত করার মূলেও রয়েছে
এই বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গিরই প্রেরণা। অর্থাৎ যাঁরা বেদের সিদ্ধান্ত প্রমাণরূপে
গ্রহণ করেন তাঁদেরকে আস্তিক এবং যাঁরা বেদের সিদ্ধান্তকে অভ্রান্তরূপে
গ্রহণ করেন না তাঁদেরকে নাস্তিক সম্প্রদায় বলা হয়। তাই বৌদ্ধ ও জৈনগণ পরলোক
স্বীকার করলেও বেদনিন্দা করে নাস্তিক আখ্যায় অভিহিত হয়েছে। আর চার্বাকরা
বেদ ও পরলোক উভয়ই অস্বীকার করে একেবারে নাস্তিক শিরোমণি আখ্যায় ভূষিত
হয়েছে। তাই হয়তো মাধবাচার্য্য (চতুর্দশ শতক) তাঁর ‘সর্বদর্শনসংগ্রহ’
গ্রন্থে উদ্ধৃত করেন- ‘নাস্তিকশিরোমণিনা চার্বাকেণ’। অপরদিকে বেদ এবং
উপনিষদানুসারী ষড়দর্শন যথা- সাংখ্য, যোগ, ন্যায়, বৈশেষিক, মীমাংসা ও
বেদান্ত হলো সম্পূর্ণই বেদবিহিত আস্তিক দর্শন।
.
আবার
অষ্টম শতকের জৈন দার্শনিক হরিভদ্র সূরী তাঁর ‘ষড়্দর্শনসমুচ্চয়’ গ্রন্থে
‘আস্তিকবাদিনাম্’ বা আস্তিকবাদ হিসেবে যখন বৌদ্ধ ও জৈন মতের উল্লেখ করেন,
তখন এটাই প্রতীয়মান হয় যে আস্তিক সংজ্ঞাটা এখানে পরিবর্তিত অর্থেই ব্যবহৃত
হয়েছে। এক্ষেত্রে টীকাকার সোমতিলক সূরীর মতে উক্ত গ্রন্থের অন্তর্গত এই
‘আস্তিকবাদিনাম্’ পদটির অর্থ হচ্ছে-
‘পরলোকগতিপুণ্যপাপাস্তিক্যবাদিনাম্’, অর্থাৎ আস্তিকবাদী বলতে তাঁদেরকেই বোঝায় যাঁদের পরলোক, পুণ্য, পাপ ইত্যাদিতে আস্থা আছে।
.
হরিভদ্র সূরীর এই পরিবর্তিত অর্থেও দেখা যাচ্ছে চার্বাকরা নাস্তিকগোষ্ঠির অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। একইভাবে অষ্টম শতকেরই বৌদ্ধ আচার্য শান্তরক্ষিতের ‘তত্ত্বসংগ্রহ’ গ্রন্থে পরলোকের অস্তিত্ব অস্বীকার করার কারণে লোকায়ত মতকে ‘পরানাস্তিকতা’ আখ্যায় অভিহিত করা হয়েছে। এখানে চার্বাক মতেরই অন্যতম প্রাচীন নাম লোকায়ত দর্শন।
হরিভদ্র সূরীর এই পরিবর্তিত অর্থেও দেখা যাচ্ছে চার্বাকরা নাস্তিকগোষ্ঠির অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। একইভাবে অষ্টম শতকেরই বৌদ্ধ আচার্য শান্তরক্ষিতের ‘তত্ত্বসংগ্রহ’ গ্রন্থে পরলোকের অস্তিত্ব অস্বীকার করার কারণে লোকায়ত মতকে ‘পরানাস্তিকতা’ আখ্যায় অভিহিত করা হয়েছে। এখানে চার্বাক মতেরই অন্যতম প্রাচীন নাম লোকায়ত দর্শন।
.
অতএব
দেখা যাচ্ছে যে, প্রাচীন ভারতীয় দর্শন জগতের অপরাপর সবগুলো দর্শনেই
চার্বাক মতকে যার যার মতো করে নিজেদের বিপরীত অবস্থানে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা
করা হয়েছে। যদিও বেদের প্রাধান্যকে স্বীকার না করার জন্য
ব্রাহ্মণ্য-সংস্কৃতির সমর্থকগোষ্ঠি জৈন ও বৌদ্ধ মতকে আস্তিক্যের মর্যাদা
দিতে চাননি, তবু ভারতের ঐতিহ্যগত সাধারণ মূল্যবোধ ও বিশ্বাসের সাপেক্ষে
বৌদ্ধ ও জৈনরা যে স্বাভাবিকভাবে নাস্তিক্য প্রভাবের বাইরে, তারই ইঙ্গিত
হয়তো এটা। তা থেকে একটা বিষয়ে একমত হওয়া যায় যে, ‘নাস্তিক’ সংজ্ঞার মধ্যে
প্রচলিত ধারণার বিরুদ্ধে এক অভূতপূর্ব প্রতিবাদ ও বিদ্রোহের ইঙ্গিতই লুকিয়ে
আছে। আর এই বিদ্রোহী মনোভাবের মূর্ত প্রতীক আসলে চার্বাকই। কেননা এই
নাস্তিক দৃষ্টিভঙ্গিটাকে যদি জড়বাদী ধারণা দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়, তাহলেই এ
পার্থক্যটা স্পষ্ট হয়ে যায় আমাদের কাছে। প্রাচীন ভারতীয় অপরাপর সমস্ত
ভাববাদী দর্শনের বিপরীতে একমাত্র জড়বাদী দর্শনই হলো চার্বাক দর্শন। মূলত
এজন্যেই মাধবাচার্য তাঁর ‘সর্বদর্শনসংগ্রহ’ গ্রন্থে চার্বাকদেরকে
‘নাস্তিকশিরোমণি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
.
চার্বাক
দর্শনের মূল কথাগুলো হচ্ছে- প্রত্যক্ষই একমাত্র প্রমাণ; পৃথিবী (মাটি),
জল, তেজ (আগুন) ও বায়ু- এই চারটি হচ্ছে তত্ত্ব; অর্থ ও কাম- দু’টি
পুরুষার্থ; জীবনে ভোগ ত্যাজ্য নয় গ্রাহ্য। ভূতচতুষ্টয় হতে চৈতন্যের
উৎপত্তি, পুনর্জন্ম বা পরলোক নেই, মৃত্যুই মোক্ষ। ভূতচতুষ্টয়ের মিলনে
উৎপন্ন চৈতন্যবিশিষ্ট এই দেহ হতে বিচ্ছিন্ন পৃথক জীব নেই; ঈশ্বর বা আত্মা
বলেও কিছু নেই। অগ্নিহোত্র, ত্রয়ী বেদ, ত্রিদণ্ড ও ভস্মগুণ্ঠন হচ্ছে
প্রজ্ঞাপৌরুষহীন ব্যক্তিগণের জীবিকামাত্র। ত্রয়ী ধূর্ত্তগণের প্রলাপ ও
বেদের বিধানের মধ্যে কোন তফাৎ নেই, উভয়ই বঞ্চনামূলক ও মিথ্যা। দণ্ডনীতিই
একমাত্র বিদ্যা, বার্ত্তা (কৃষি ইত্যাদি অর্থনীতিসংক্রান্ত বিদ্যা)
দণ্ডনীতির অন্তর্ভুক্ত। সত্যান্বেষণে প্রয়োজন অনুভব ও বুদ্ধিকে পথপ্রদর্শক
করা, ইত্যাদি।
…
(চলবে…)
…
[আগের পর্ব: ভূমিকা] [*] [পরের পর্ব: ভারতীয় দর্শনের বিভিন্ন সম্প্রদায়]
…
…
(চলবে…)
…
[আগের পর্ব: ভূমিকা] [*] [পরের পর্ব: ভারতীয় দর্শনের বিভিন্ন সম্প্রদায়]
…
[ mukto-mona blog ]
…
No comments:
Post a Comment