Saturday, December 26, 2009

| দুই-মেগাপিক্সেল…| শিখা চিরন্তন |



| দুই-মেগাপিক্সেল…| শিখা চিরন্তন |
- রণদীপম বসু


রমনা শিশু পার্কের (জিয়া শিশু পার্ক) লাগোয়া পেছনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের যে স্পটটাতে বিখ্যাত স্মারক-স্থাপনা ‘শিখা চিরন্তন’-এর অনির্বাপিত শিখা জ্বলছে জ্বলজ্বল করে, সে আমলের কেউ এখানে এসে দাঁড়ালে এখনো হয়তো ফিরে যান সেই সময়ে, বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠের সেই স্বাধীনতার ডাক শুনতে পান। আজ যাকে আমরা সোহরাওয়ার্দী ময়দান বলি, এককালের সেই ঐতিহাসিক রেইসকোর্স ময়দান এখন বিশাল এক স্থাপনায় উন্নীত হয়েছে। এটাই কি ‘বিজয় মঞ্চ’ ? 

এবারই ১৬ ডিসেম্বর ২০০৯ বিজয় দিবসের প্রাক-মধ্যাহ্ণে প্রথম এ এলাকাটায় আসার সুযোগ হলো আমার। পকেটে দুই-মেগাপিক্সেল, কিন্তু স্চ্ছন্দে ক্লিক করার মতো কুয়াশাক্রান্ত আবহাওয়া কিছুতেই অনুকূলে ছিলো না তখন। কী আর করা ! আমি তো ফটোগ্রাফি করতে আসিনি, বা সে হাতিয়ারও আমার নেই। যোগ্যতাও নেই। তাই দুই-মেগাপিক্সেল মোবাইল ক্যামেরায় কয়েকটি স্মৃতিময় মুহূর্ত ধরে রাখার চেষ্টা করেছি কেবল।


চিত্র: ০১
স্মারক-স্থাপনা ‘শিখা চিরন্তন’, সোহরাওয়ার্দী ময়দান, ঢাকা। পেছনে আবছাভাবে শিশু-পার্কের আংশিক দেখা যাচ্ছে।

চিত্র: ০২-০৪
বিভিন্ন অবস্থান থেকে তোলা ছবিতে ‘শিখা চিরন্তন’, সোহরাওয়ার্দী ময়দান, ঢাকা।

চিত্র: ০৫
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় কর্তৃক স্থাপিত ‘শিখা চিরন্তন’-এর ভিত্তি প্রস্তর ফলক। পেছনে কিছুটা দূরে বিজয় মঞ্চের সম্মুখাংশ দেখা যাচ্ছে। কিন্তু ফলকের লেপ্টে দেয়া নামটি কি আমাদের কারো কারো লজ্জাকর হীনমন্যতাকে ঢাকতে পেরেছে ?

চিত্র: ০৬-০৭
বিজয় মঞ্চের সম্মুখাংশ সজ্জিত হচ্ছে, সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের আয়োজনে সেখানে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মুহূর্ত উদযাপন হবে। পাশের স্থাপত্য-দেয়ালে যুদ্ধাপরাধীর তালিকা সাটানো হচ্ছে।

চিত্র: ০৮-০৯
প্রথম পঞ্চাশ জন যুদ্ধাপরাধীর প্রাথমিক তালিকা।

চিত্র: ১০-১১
স্থায়ী বিজয় মঞ্চ, পেছনের বিস্তৃত স্থাপনা-অংশ।


আর এসব ছবির একটাই অর্থ, আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই।

No comments: