| ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে শেরাটন হয়ে এবার ‘রূপসী বাংলা’ !
-রণদীপম বসু
…
পহেলা এপ্রিল থেকে দেশের প্রথম পাঁচতারকা হোটেল শেরাটনের নাম বদলে যাচ্ছে। পরিচিত হবে খাঁটি দেশীয় নাম ‘রূপসী বাংলা’ নামে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক চেইন প্রতিষ্ঠান স্টারউড এশিয়া প্যাসিফিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট এবং বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেড (বিএসএল)-এর মধ্যে সম্পাদিত হোটেল পরিচালনার চুক্তি ৩১ মার্চ ২০১১ তারিখে শেষ হয়ে যাচ্ছে। ফলে স্টারউডের ব্রান্ড নেম শেরাটন আর ব্যবহার করা যাবে না। নিয়ন্ত্রণকারী সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেড (বিএসএল)-এর পরিচালনা পর্ষদ নতুন কোন চেইন প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করার আগ পর্যন্ত কেবল ‘রূপসী বাংলা’ নামেই এই পাঁচতারকা হোটেল পরিচিত হবে। তবে ভবিষ্যতে নতুন কোন আন্তর্জাতিক হোটেল এটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিলে বাংলা নাম রূপসী বাংলার সঙ্গে যুক্ত হবে চেইন অপারেটর বা হোটেলের নাম। যেভাবে অন্য পাঁচতারকা হোটেল ঢাকা প্যান প্যাসিফিক-এর সাথে শুরু থেকেই বাংলা নাম সোনারগাঁও যুক্ত হয়ে আছে।
-রণদীপম বসু
…
পহেলা এপ্রিল থেকে দেশের প্রথম পাঁচতারকা হোটেল শেরাটনের নাম বদলে যাচ্ছে। পরিচিত হবে খাঁটি দেশীয় নাম ‘রূপসী বাংলা’ নামে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক চেইন প্রতিষ্ঠান স্টারউড এশিয়া প্যাসিফিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট এবং বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেড (বিএসএল)-এর মধ্যে সম্পাদিত হোটেল পরিচালনার চুক্তি ৩১ মার্চ ২০১১ তারিখে শেষ হয়ে যাচ্ছে। ফলে স্টারউডের ব্রান্ড নেম শেরাটন আর ব্যবহার করা যাবে না। নিয়ন্ত্রণকারী সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেড (বিএসএল)-এর পরিচালনা পর্ষদ নতুন কোন চেইন প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করার আগ পর্যন্ত কেবল ‘রূপসী বাংলা’ নামেই এই পাঁচতারকা হোটেল পরিচিত হবে। তবে ভবিষ্যতে নতুন কোন আন্তর্জাতিক হোটেল এটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিলে বাংলা নাম রূপসী বাংলার সঙ্গে যুক্ত হবে চেইন অপারেটর বা হোটেলের নাম। যেভাবে অন্য পাঁচতারকা হোটেল ঢাকা প্যান প্যাসিফিক-এর সাথে শুরু থেকেই বাংলা নাম সোনারগাঁও যুক্ত হয়ে আছে।
১৯৬৭ সালে ঢাকার ১ নং মিন্টু রোডে বাংলাদেশের প্রথম পাঁচতারকা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল (Hotel Intercontinental) গড়ে উঠে তৎকালীন পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস (পিআইএ) ও পাকিস্তানভিত্তিক শিল্পপতি ইউসুফ হারুনের মালিকানায়। স্বাধীনতার পর এটি পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে পরিণত হলে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এর দায়িত্ব নেয়। পরে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে হোটেলটি চালানোর উদ্যোগ নেয়া হয় এবং এর পরিচালনার ভার দেয়া হয় আগের চেইন কোম্পানি ইন্টারকন্টিনেন্টালকে। মুক্তিযুদ্ধের সময় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ছিলো ‘নো ওয়ার জোন’ হিসেবে নিরাপদ স্থান। তখন এ হোটেলে থেকেই বিদেশী কূটনীতিক ও সাংবাদিকরা তাদের দায়িত্ব পালন করেন। যাঁদের অনেকেই তখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বিশ্ব জনমত গড়ে তুলতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখেন। এদের মধ্যে খ্যাতনামা সাংবাদিক মার্ক টালি ও সাইমন ড্রিংকয়ের নাম জড়িয়ে আছে এ হোটেলের সঙ্গে। ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত চেইন কোম্পানি ইন্টারকন্টিনেন্টালের পরিচালনায় হোটেলটি পরিচালিত হয়।
.
.
১৯৮৪ সালে স্টারউড হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল পরিচালনার দায়িত্ব নেয় এবং তখনই এর নাম পরিবর্তন করে তাদের ব্রান্ডনেইম হোটেল শেরাটন (Sheraton) রাখা হয়। ২০ বছরের চুক্তি অনুযায়ী ২০০৪ সাল পর্যন্ত এই হোটেল পরিচালনার কথা ছিলো স্টারউডের। পরবর্তীতে দফায় দফায় প্রথমে পাঁচ বছর এবং পরে তিন মাস করে সময় বাড়িয়ে সর্বশেষ ৩১ মার্চ ২০১১ পর্যন্ত হোটেলটি পরিচালনা করলেও আর সময় বাড়াতে রাজী হয়নি প্রতিষ্ঠানটি। ফলে ১ এপ্রিল ২০১১ থেকে নতুন কোন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান যুক্ত না হওয়া পর্যন্ত বিএসএল-এর ব্যাবস্থাপনায় আপাতত পরিচালিত হবে প্রায় অর্ধ শতাব্দী পুরনো দেশের প্রথম এই পাঁচতারকা (fivestar) হোটেল। আর এর নাম হবে ‘রূপসী বাংলা’ (Ruposi Bangla)।
…
……
No comments:
Post a Comment