| চতুষ্পদী কষ্টগুলো… |২১-২৫|
-রণদীপম বসু
…
(২১)
বৃক্ষের বল্কলে নদীর চিহ্ন দেখে-
তুমি যে চমকালে হঠাৎ !
আমি তো খুঁজিনি এতো- কোথা কোন্ বৃক্ষদেহে
কে কখন রেখেছিলো জলমগ্ন হাত !
.
(২২)
মেঘের রেখায় লিখেছিলাম স্বপ্নমাখা নাম,
বৃষ্টিরা তা ধুয়ে দিলো;
তুমিও কিছু বললে না তো-
আকাশটা কি রয়েই যাবে ঠিকানাহীন খাম !
.
(২৩)
বাইরে এমন জ্যোৎস্না মেখে আর কতোকাল মারবি রে বল্
আমি তো সই মরেই আছি তোর অতলে;
তার চেয়ে ডাক্ মুদ্দাফরাস, সবটুকু পথ একাই চলি !
বিষকাটালি বুকেরে তোর বুকের ভেতর বিষকাটালি।
.
(২৪)
পাতারা মর্মর সুরে নিরবে জানিয়ে দিলো-
তোমার আসার কথা;
আসলেও ঠিক, তবু সত্যি কি এসেছিলে ?
ওই বুকে ধরে আছো আর-কারো মন্থন ব্যথা !
.
(২৫)
ছেড়ে যাবে বলেছো বলেই বাঁধিনি তোমায়,
ফেরার পথটাও রয়েছে খোলা-ই;
কী হবে আমাকে টেনে, আমি তো যাবো না কোথাও,
তোমাকে ছুঁয়েছি বলেই অতঃপর বুঝে গেছি জলের স্বভাব !
…
(চলবে…)
…
[১৬-২০] [*] [২৬-৩০]
…
No comments:
Post a Comment