Tuesday, October 10, 2017

আমার দর্শন চর্চা ও কিছু ঔচিত্যবোধ প্রসঙ্গে



| আমার দর্শন চর্চা ও কিছু ঔচিত্যবোধ প্রসঙ্গে |
রণদীপম বসু

(১)
জ্ঞানী ব্যক্তিরা যে পথে হেঁটে যেতে সদাই দ্বিধাগ্রস্ত থাকেন, নির্বোধেরা নির্দ্বিধায় সে পথ মাড়িয়ে যায়। এই মহাজন-উক্তির যথার্থতা বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা আগেভাগেই উপলব্ধি করতে সক্ষম হন তাঁরা বুদ্ধিমান বলেই। কিন্তু আমি যে আদতেই এক আকাট মহামূর্খ সেটা হাঁড়েহাঁড়ে টের পেতেও খুব দেরি হলো না। আগপিছ না ভেবেই ‘মুই কী হনুরে’ জাতীয় এক অদ্ভূত ভাবের প্রাবল্যে বীরদর্পে এমন এক কণ্টকাকীর্ণ পথে পা রাখলাম, দু-এক কদম এগিয়েই বুঝতে পারলাম এই ক্ষত-বিক্ষত রক্তাক্ত পায়ে হেঁটে এগিয়ে যাওয়া তো দূরস্ত্, আমার এই অনভিজ্ঞ দুর্বল সামর্থহীন নিঃসার পায়ের উপর দাঁড়িয়ে থাকাটাই এক অসম্ভব কল্পনা বলে মনে হলো! অতএব যা হবার তা-ই হলো, আমি ভূপাতিত! এই হলো আমার দর্শনচর্চার প্রাক-ইতিহাস। প্রাতিষ্ঠানিক পাঠ্যে বিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে দর্শনতত্ত্বের ছিটেফোটা অভিজ্ঞতাও যার ঝুলিতে নেই, সেই আমিই কিনা চিরকালের এক কঠিন রহস্যময় প্রাচীন ভারতীয় দর্শনের দুঃসহ বিভ্রম-মাখানো পথের গণ্ডপথিক হয়ে গেলাম! হা হা হা! গণ্ডমূর্খ আর কারে কয়!


মূর্খতার এখানেই শেষ নয়। মৌনতাই হয় জ্ঞানী সাধকের উপলব্ধি-যাত্রার প্রথম প্রকাশ, কেননা তাঁরা জানেন বা উপলব্ধি করতে সক্ষম যে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতম এক অনন্ত দুর্গম পথের যাত্রীদের গন্তব্য-বন্দরের চেহারা পর্যবেক্ষণে না পাওয়াতক অব্যক্ততাই হয় ব্যক্ততার অমিয় ভূষণ। কিন্তু মূর্খ আমি যে সাব্যস্তযাত্রা শুরুই করেছিলাম রীতিমতো ঢাকঢোল পিটিয়ে এক মহান যুদ্ধযাত্রার অভিব্যক্তির বিকট মুখোশ পরে! মূর্খতার বিড়ম্বনায় তখনো কি জানতাম তা কতো হাস্যকর, নিঃসার! শুনেছি নির্বোধেরাও আকস্মিক আত্মোপলব্ধির আলোয় সচেতন হয়ে স্বকৃত ভুলের জন্য অনুশোচনায় দগ্ধ হয়ে ফিরে আসে যাত্রাবিন্দুতে স্বীকৃত সততা নিয়ে। অথচ মূর্খেরও মূর্খ এই ভূপাতিত আমি কিনা ক্ষমার অযোগ্য অহঙ্কারে ভর করেই গড়িয়ে গড়িয়ে সেই অনির্দেশ্য পথেই চলতে থাকলাম। অতএব বুদ্ধিমান পাঠক নিশ্চয়ই ইতোমধ্যেই যাচাই করে ফেলেছেন যে আমার এহেন দর্শনযাত্রার দৌড় কোন্ মার্গতক পৌঁছুতে পেরেছে! হা হা হা!

ভারতীয় দর্শনভূমিটা কী তা না-জানলে বা না-বুঝলেও নিজের জন্ম-সংস্কারের ফলশ্রুতিতে অন্য অনেকের মতো আমাকেও ধর্ম-সংস্কারের কাঁটায় আবাল্য বিদ্ধ হতে হয়েছে সঙ্গত কারণেই। কার্যের সাথে কারণের উপযোগ খোঁজার সেই যে আবাল্য প্রশ্ন আমাকে তাড়া করতে শুরু করেছিলো তার উত্তরের সন্ধানে আজীবন দৌঁড়েই গেলাম এই দুর্গম পথে। বিজ্ঞানের আলো আমাকে মার্গপথটাই দেখিয়ে গেছে শুধু, কিন্তু উত্তরের কৌতুহলী তৃষ্ণা চিরকাল অতৃপ্তই রেখে দিলো আমায়। সেটাই কি আমার এই অহঙ্কারী মূর্খতার কারণ? হতে পারে। কেননা, চার্বাকদের মতোই আমারও ফিরে যাবার উপায় ছিলো না। গন্তব্যে পৌঁছুতে না পারলেও আমি যে এমন এক পথের যাত্রী ছিলাম হয়তো এটাই আমার অহঙ্কার। হাঁটার যোগ্যতা বা সামর্থ্য নাই থাক, যতটুকু পেরেছি ক্ষত-বিক্ষত হতে হতে গড়াতে গড়াতে যেটুকুই যেতে পেরেছি সেটুকুই আমার মূর্খতার অহঙ্কার। আমার এই নির্বদ্ধিতাকে বুদ্ধিমান পাঠক নিশ্চয়ই নিজ যোগ্যতা দিয়েই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এটুকু আশা করতেই পারি। শেষতক মানুষের জীবন তো আসলে তার তুলেমূলে আশারই যোগফল!

.
(২)
দর্শন জগতের এক বিস্মৃত মহীরুহ চার্বাক নিয়ে আমার বিভ্রম ও কৌতুহল সেই ছাত্রপর্বের শেষকাল থেকেই, যখনও আদৌ জানতামই না যে চার্বাক আসলে কে বা চার্বাক বলতে সত্যিই কী বোঝায়। কেননা অন্যদের মতো আমারও জন্ম ও ধর্ম-সংস্কারে চার্বাকদের কোন অস্তিত্বই ছিলো না, ছিলো কেবল প্রাচীন ভারতীয় আস্তিক দর্শনগুলোর কিছু কিছু বিশেষাশ্রিত তত্ত্বের সম্মিলিত মণ্ডাকারে প্রস্তুত এক বিশেষ ধরনের ককটেল, যাকে আসলে দর্শন নয়, আমরা জানতাম ধর্মের নিগূঢ় তত্ত্ব ও নৈতিকতার কিছু অনিবার্য মাপকাঠি হিসেবে। আর এগুলোকে প্রতিষ্ঠা করা হতো পুরাণ ও শাস্ত্র নামের কিছু পূজনীয় গ্রন্থাদির অলৌকিক মাহাত্ম্য দিয়ে। যেখানে কাল্পনিক অলৌকিকতা সামনে এসে দাঁড়ায়, দৈনন্দিন প্রত্যক্ষ বাস্তবতার সাথে তার দ্বন্দ্বও আবশ্যক হয়ে পড়ে বৈকি। এবং তখনই সামনের বহমান পথটাও হয়ে যায় দ্বিধাবিভক্ত। একদিকে বিশ্বাসের অলৌকিক সম্ভাবনা নিয়ে এক প্রশ্নহীন ভক্তিমার্গের আপাতমধুর বিভ্রম, অন্যদিকে নিরন্তর প্রশ্নবাণের কণ্টকাকীর্ণ যুক্তিনিষ্ঠতার সুচারু বিহ্বলতা।

আবাল্যের সর্বভুখ পাঠক হিসেবে আমার পাঠরুচিও যথানিয়মে বিন্যাস আর পুনর্বিন্যাসের মধ্য দিয়ে আমাকে এমন এক মার্গপথে দাঁড় করিয়ে দিলো, যখন আবিষ্কার করলাম, তবে কি আমিই চার্বাক! কেবল আমার আর চার্বাকের মধ্যে এটুকুই ব্যবধান, প্রাচীন লোকায়তিক চার্বাকেরা যাবতীয় শাস্ত্রীয় অলৌকিকতাকে এমনই নির্মম বিদ্রূপ বাণে বিদ্ধ করেছেন যে যুক্তিহীন অলৌকিকতার শাস্ত্রীয় সৌধটা কল্পনায় চোখের সামনেই ধূলিস্মাৎ-ই হতে দেখি শুধু, কিন্তু নিজেকে এমন কোন বিকল্প আরেকটি সুরম্য সৌধে অধিষ্ঠিত হতেও দেখি না! বরং এক ধু-ধু বিরান প্রান্তরে দেখি দাঁড়িয়ে আছি আমি একা, সহায়হীন নিসম্বল, চার্বাকদের মতোই! নিজেকে একাকী আবিষ্কার ভীতিকরও বটে। বেদ বা শ্রুতিশাস্ত্রেই উক্ত আছে যে, সৃষ্টির শুরুতে প্রজাপতি ব্রহ্মা নিজেকে একাকী দেখে ভীত হয়েছিলেন! তাই মানুষও একাকীত্বকে ভয় পায়। এজন্যেই কি তিনি সৃষ্টিকার্যে ব্রতী হয়েছিলেন! কে জানে! শাস্ত্রে এর বিভিন্ন ব্যাখ্যাও আছে অবশ্য।  তবে একাকী মানুষ যে তার একাকিত্ব কাটাতে সচেষ্ট হয় সঙ্গির খোঁজে তাতে সন্দেহ কী! আমিও সচেষ্ট হয়েছি সেই একাকী চার্বাকের খোঁজে। এভাবেই আমারও মার্গপথ নির্দিষ্ট হয়ে গেছে।

কিন্তু এখানে প্রশ্ন থেকেই যায়, অলৌকিকতায় সিদ্ধ সেই শাস্ত্রীয় সৌধটা আসলে কী ছিলো বা এখনো আছে? কেনই বা চার্বাকেরা তাকে গুড়িয়ে দিতে সচেষ্ট হয়েছিলেন? আদৌ পেরেছেন কি? আর চার্বাকদের সেই অস্ত্রগুলোই বা কী ছিলো যা দিয়ে তাঁরা এমন দুঃসাহসী হবার দুঃসাহস দেখিয়েছেন? আসলে চার্বাককে জানতে হলে তার আগে জানতেই হয় তাদের লক্ষ্যনিষ্ঠ সেই সৌধের উপাদান ও উপাখ্যানগুলোকেও, কেননা সেই সৌধের উপাদানের দুর্বলতার মধ্যেই যে লুকিয়ে আছে চার্বাকদের প্রকৃত নিশানা। আর সে কারণেই তথাকথিত পুরাণশাস্ত্রের অলৌকিক স্তম্ভগুলির নির্মাণশৈলীতে উপাদান হিসেবে যে দর্শনসঞ্জাত চুন-সুড়কির ব্যবহার করা হয়েছে আমাদেরকে তার গঠনপ্রকৃতি সম্বন্ধেও অবগত হতে হয়। তা আর কিছুই নয়, প্রাচীন ভারতীয় দর্শন। তার মধ্যেও রয়েছে বিভেদ। আস্তিক আর নাস্তিক। আস্তিক দর্শনগুলি যার প্রধান ছয়টিকে একসাথে ষড়দর্শন নামে অভিহিত করা হয়। সেগুলি হলো ন্যায়দর্শন, বৈশেষিকদর্শন, সাংখ্যদর্শন, যোগদর্শন, মীমাংসাদর্শন ও বেদান্তদর্শন। এবং এর প্রেক্ষিত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত অন্য নাস্তিক দর্শনগুলো হলো- জৈনদর্শন, বৌদ্ধদর্শন ও নাস্তিকশিরোমণি চার্বাকদর্শন।

.
(৩)
প্রসঙ্গক্রমে যেহেতু আস্তিক ও নাস্তিক শব্দযুগলের আবির্ভাব ঘটেই গেলো, সেক্ষেত্রে আমাকে দ্বিধাহীনভাবে বলতেই হয় যে, ভারতীয় দর্শন পরিভাষায় এই শব্দদুটি কোনভাবেই গুণাত্মক বা দোষাত্মক শব্দ হিসেবে নয় বরং বৈশিষ্ট্যসূচক দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবেই ব্যক্ত করা হয়েছে। কেননা দর্শনের জগতে নাস্তিক্যবাদ, নিরীশ্বরবাদ ও জড়বাদ বা বস্তুবাদ কোনভাবেই সমার্থক শব্দ নয়। আর আস্তিক্যবাদ ও ঈশ্বরবাদও একার্থবোধক শব্দ নয়। নিরীশ্বরবাদী হয়েও যে কট্টর আস্তিক্যবাদী দর্শন হতে পারে তার দৃষ্টান্ত ভারতীয় দর্শনেই জ্বলজ্বল করছে। এ বিষয়ে ইতঃপূর্বে ‘নাস্তিক্য বনাম আস্তিক্য, শুধুই কি সত্যাসত্যের দ্বন্দ্ব’ শিরোনামে একটি নিবন্ধে এই বিষয়গুলোর যথাসাধ্য ব্যাখ্যার প্রয়াস করেছি। তাই ইদানিং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে যখন কাউকে কাউকে সদম্ভে নিজেকে নাস্তিক হিসেবে পরিচয় দিতে দেখি কিংবা কেউ কেউ যুক্তিনিষ্ট আস্তিক হিসেবে নিজেকে পরিচিত করান তখন আমার কেবলই বিভ্রম হয়! কেননা এই আমি যে সত্যিই মূর্খ এ বিষয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই। আমার মূর্খতার বিষয়ে আমি নিঃসন্দেহ। আর এই মূর্খতার পরিসীমা নিরূপণ করতেই আপাত একটা ইচ্ছা যে, প্রাচীন ভারতীয় দর্শনগুলোকে নিয়ে একটা আলোচনার সূত্রপাত করবো এই ব্লগ পরিমণ্ডলে, যদি সহৃদয় পাঠক আগ্রহী হন।

নিজের ঢোল নিজে পেটানোর মতোই এটুকু উল্লেখ করা আবশ্যক মনে করছি যে, অনেকেই হয়তো অবগত আছেন, ইতোমধ্যেই বর্তমান লেখকের বালখিল্যতার নিদর্শন হিসেবে ‘চার্বাকের খোঁজে ভারতীয় দর্শন’ শিরোনামে একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে আমার অজ্ঞানতার স্থূল আকার নিয়ে। আর সেই গ্রন্থের স্বীকারোক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছিলো যে, “ভারতীয় দর্শন বিষয়ক আলোচনার প্রয়াস হিসেবে  ‘চার্বাকের খোঁজে ভারতীয় দর্শন’ গ্রন্থটি গ্রন্থকারের সামগ্রিক প্রয়াসের প্রথম ভাগ বললে ভুল হবে না। তবে এই প্রথম-ভাগই প্রধান বা মূল কাজ। এতে চার্বাক দর্শনের সামগ্রিক একটি রূপরেখা অঙ্কন-প্রয়াসের প্রতিফলন-প্রচেষ্টায় তার মধ্যে সামগ্রিক ভারতীয় দর্শনের উৎস খুঁজতে সুপ্রাচীন সিন্ধু-সভ্যতা থেকে বৈদিক-সভ্যতা হয়ে পরবর্তী দর্শন-সম্প্রদায়ের চিন্তাধারা পর্যন্ত সামগ্রিক আলোচনার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু এটি করতে গিয়ে ভারতীয় দর্শনের স্বাভাবিক গতিপ্রকৃতি বুঝতে যেহেতু চার্বাক ছাড়াও অন্যান্য দার্শনিক সম্প্রদায়ের মতবাদ সম্পর্কেও একটি আপাত ধারণা থাকার প্রয়োজন উপলব্ধ হয়েছে, তাই চার্বাক বাদে বাকি দর্শন সম্প্রদায়গুলি– অর্থাৎ জৈন, বৌদ্ধ, ন্যায়, বৈশেষিক, সাংখ্য, যোগ, পূর্ব-মীমাংসা এবং ব্রহ্ম-বেদান্ত ছাড়াও বেদান্তের প্রধান দুটি উপসম্প্রদায় অদ্বৈত-বেদান্ত ও বিশিষ্টাদ্বৈত-বেদান্ত এর সিদ্ধান্ত ও প্রাসঙ্গিক আলোচনা নিয়ে দ্বিতীয়-ভাগটি সাজানো হয়েছে ‘চার্বাকেতর ভারতীয় দর্শন’ নামের পরবর্তী গ্রন্থে। অবশ্যই ভিন্ন নামের গ্রন্থ দুটি একটি আরেকটির উপর নির্ভরশীল নয়, কিন্তু একটি আরেকটির পরিপূরক বললে অসঙ্গত হবে না। কেননা দুটি গ্রন্থ মিলেই গোটা ভারতীয় দর্শনের পূর্ণাঙ্গ অবয়ব ও উপস্থিতি ধারণ করেছে।”

এই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দ্বিতীয় ভাগের সাজানো গ্রন্থটির সম্ভাব্য যে আকার ও আয়তন দাঁড়াবে তাতে গ্রন্থটি একাধিক খণ্ডেই এবং তাও অন্তত চারটি খণ্ডে প্রকাশ করতে হবে হয়তো। কিন্তু বর্তমান আলোচনার বিবেচ্য সেটি নয়। প্রকাশনার রাজ্য সে ভিন্ন জগত। কিন্তু বিজ্ঞাপনসুলভ মনে হলেও এখানে তা উল্লেখ করার উদ্দেশ্য হলো ভারতীয় দর্শন নিয়ে এই ব্লগ পরিমণ্ডলে আলোচনার সূত্রপাত হলে তার শেষ কোথায় অর্থাৎ পর্ব সংখ্যা কতোতে গিয়ে দাঁড়াবে সেটি এ মুহূর্তে মোটেও আন্দাজগম্য নয়। যেহেতু দর্শন সংখ্যা কম নয়, অন্তত নয়টি, তাও আবার প্রতিটির আকারও বেশ পুষ্ট হবে বলে বিশ্বাস, সেক্ষেত্রে আলোচনাটির শৃঙ্খলা-পরম্পরা রক্ষা করাও অতি দুরুহ বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। হয়তো প্রথমে আস্তিক দর্শনের সৌধগুলো একে একে পরিভ্রমণ করে বেঁচেবর্তে থাকলে অতঃপর নাস্তিক্য দর্শনের যুদ্ধক্ষেত্রে পদার্পণ করা যেতে পারে। তদুপরি জ্ঞানাশ্রিত হলেও দর্শনের নিরস রাজ্যে ব্লগের প্রবহমান পাঠককে রসিয়ে রসিয়ে আমন্ত্রণ করাও কতোটা উৎসাহজনক কাজ হবে তার ঔচিত্যেবাধ বিবেচনাই এ মুহূর্তে দুরোত্তর মনে হচ্ছে।
আর তাই এটিকে আপাতত এতৎবিষয়ক পাঠক জনমত যাচাই পোষ্ট হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। আর যাই হোক অন্তত সচলে দীর্ঘদিনের অনুপস্থিতি কাটানোর সিদ্ধি হিসেবে তো এই পোস্টটিকে গ্রহণ করা যেতেই পারে! হা হা হা!!

[ভারতীয় দর্শনসূচি]

No comments: