‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই। তা প্রকাশ করতে যদি লজ্জাবোধ হয়, তবে সে ধরনের চিন্তা না করাই বোধ হয় ভাল।’ -- প্রাচীন গ্রীক কবি ইউরিপিডিস (৪৮০-৪০৬ খ্রীঃ পূঃ)
Saturday, March 1, 2008
# `তিন দশে তেরো'-০১ (শিশুতোষ ছড়াগুচ্ছ)
তিন দশে তেরো
- রণদীপম বসু
রং ঢং
প্রশ্নের রং মেখে
ঢং করে সং
ভুল হলে বলবেই
ইংলিশে রং।
সিং দিয়ে গান করে
গান হয় সং
শিং দিয়ে গুঁতো মারে
নেই তাতে ভং।
দেশ-গাঁয়ে লোকে কয়
মই-টাকে চং
এক কালে বলা হতো
বাংলাকে বং।
মাচা বেঁধে করে ঘর
নাম তার টং
ওখানেও বাস করে
আদিবাসী মং।
রংপুর ফিকে হলে
রং হয় অং
বিদ্রুপ করলেই
রেগে হবে টং।
চায়না তে আছে নাকি
চুং চিং চং
গোষ্ঠীর কারসাজি
হয়ে যায় গং।
ছুটি হলে ঘণ্টাটা
বাজে ঢং ঢং
উল্লাসে নাচে মন
ধিতং ধিতং।
দৈর্ঘ্যটা বাড়লেই
তালিকাটা লং
একারণে ছেটে করি
নম্বর নং।
কথাগুলো আঁকা হয়
করে রং চং
না হলে যে সব কথা
হবে ভং চং। #
বলো দেখি
বলো দেখি
কোন দেশে আর কেউ বলে না
আমার কিছু ভাল্লাগে না
পেট ভরাতে চাল লাগে না
তার সাথে আর ডাল লাগে না
মাছ ধরাতে জাল লাগে না
মরিচগুলো ঝাল লাগে না
বলো দেখি ?
কোন দেশে আর
নৌকো ভাসার খাল লাগে না
বাতাস টানার পাল লাগে না
ঘর বানাতে চাল লাগে না
জমি চাষে হাল লাগে না
মুখ রাঙাতে গাল লাগে না
লালগুলো আর লাল লাগে না
যুদ্ধে গেলে ঢাল লাগে না
বলো দেখি
কোন দেশে আর
গাইতে এবং নাচতে কোন তাল লাগে না?
বলো দেখি
কোথায় গেলে আর লাগে না
বইতে নদীর পাড় লাগে না
বইলে বোঝার ভার লাগে না
কাটতে কোন ধার লাগে না
বিজলি বাতির তার লাগে না
বসতে মাথার ঘাড় লাগে না
খোকার নামে লিখতে বানান ‘কার’ লাগে না
বলো দেখি
কোথায় গেলে হালি গোনায় চার লাগে না? #
কথার কথা
বর্ষা এলে বৃষ্টি হবে
এ আর নতুন কথা কি
মুখ থাকলেই বলতে হবে
এটা কোন প্রথা কি ?
উঠতে কথা বসতে কথা
কথার পিঠে কথা হয়
নরম কথা গরম কথা
কথায় কথায় কথাময়।
রাত বিরেতে চেঁচায় জোরে
আঁতকে ওঠে পেলে ভয়
ভীরু এরা কথায় সেরা
খোকা এমন ছেলেই নয়।
এলো বিষ্টি মেলো বিষ্টি
ভাসায় বিষ্টি পারাপার
এলে কথা বেলে কথায়
সময়টা যায় পগারপার।
ঘুমের ঘোরেও বিরাম তো নেই
স্বপ্নসুতো পেলেই হয়
কথার রাজ্যে কথা স্বাধীন
কথারা মুখ মেলেই রয়।
চুপ থাকে যে খুকুর পুতুল
সে কি কথা বলেই না ?
দেখোই না ডুব দিয়ে বুকে
কথা ছাড়া চলেই না। #
ছড়াকার
যত্র লিখে তত্র দিলেই
মিল হয়ে যায় ছন্দটার
ছড়া লেখা এত্তো সহজ
তারপরেও সন্ধ কার !
কচু ঘেচু শব্দ ক’খান
মাঝখানে দাও বসিয়ে
পড়তে গেলে হুম্বা হাম্বা
শ্বাসটা ছাড়ো রসিয়ে।
শ্রোতা কিংবা পাঠক তবু
রস না পেলে কার কি দোষ
গুঁতো খেয়ে হাসতে হলে
আমি কি আর বুনো মোষ ?
যা ইচ্ছে তাই লিখবো আমি
আমিই আসল ছড়াকার
এটাই যদি ছড়া না হয়
হবে শুনি ছড়া কার ? #
খটকা
ময়লাটা কি যেতেই হবে
কয়লাটাকে ধোলে ?
বচন যারা শিখেছিলেন
কূট-পণ্ডিতের টোলে
খোঁজটা কি তার রাখেন-
ধবধবে চুল দেখেই যদি
খোপাটাকে খোলে
বৌ-ঝিরা সব আঁতকে ওঠে
মুর্চ্ছা যেতে থাকেন ?
তখন উপায় হবে কী
যদি, শ্যাম্পু গোসল বাদ দিয়ে সব
হাঁকায় গেরস্থি !#
For the images thanksfull to Nurjahan Chaklader,
Raatmojur and XRayOfPeace
web published:
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment