‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই। তা প্রকাশ করতে যদি লজ্জাবোধ হয়, তবে সে ধরনের চিন্তা না করাই বোধ হয় ভাল।’ -- প্রাচীন গ্রীক কবি ইউরিপিডিস (৪৮০-৪০৬ খ্রীঃ পূঃ)
Tuesday, March 18, 2008
# তিন দশে তেরো -০৩ (শিশুতোষ ছড়াগুচ্ছ)
তিন দশে তেরো
- রণদীপম বসু
বাবার ছড়া
সবাই ডাকে বাবা বলে
প্রান্তু ডাকে ‘বাপি’
নইলে কি আর বুকের পুকুর
করতো ঝাপাঝাপি ?
‘বাবা’ ডাকেই মনের ঝোপে
কেমোন এলোমেলো
‘বাপি’ বলেই ডাকতে বাবা
বন্ধু হয়ে গেলো !
লাল জামা আর নীল পাজামা
আছে সবই ঠিক
‘বাবা’ শুধু ‘বাপি’ হতেই
ছড়ায় দিগবিদিক !
শব্দেরাও দুষ্টু ভারী
রংধনু রং গায়
‘বাবা’টাকে ‘বাপি’ করেই
রং ছড়িয়ে যায়। #
কষ্ট নদী
কষ্টটাকে পষ্ট করে
আঁকতে পারে আঁকিয়ে
কিন্তু যদি মুছতে বলো-
কষ্ট কি আর নষ্ট খাতা
ফেলবে ছুঁড়ে পাকিয়ে !
দিঘির জলে নুন মেশালেই
হয় কি ছোট সমুদ্দুর ?
নোনা জলের কষ্ট মেখে
মিষ্টি হাসির মাছগুলো সব
কই যাবে আর কতদূর ?
নদীর কষ্ট বুঝে না যে
স্রোত থামাতে মিন্তি দেয়,
স্রোত না পেলে নদী হয় ?
কষ্ট পেলে সেই নদীটাই
কূল ভেঙে পথ করেই নেয়।
দিঘির কষ্ট- নদী নয় সে
পাল্টে নেবে বুকের জল,
খোকার কষ্ট কেউ বুঝে না-
হতো যদি দস্যি নদী
নিষেধ বাধা ভেঙেচুরে
ভাসিয়ে যেতো অনর্গল। #
তালের পিঠা
ফিনফিনে দুপুরে
মেঘ-জামা গায়
এই দেখি রোদ-শিশু
এই দেখি নাই।
বৃষ্টির রিনিঝিনি
হুটোপুটি পায়
ভাদ্রের টুপি পড়ে
কে ছুটে যায়।
কে ছুটে তালবনে
করে ধুপধাপ
ইশকুল ফিরে খোকা
ঘেমে চুপচাপ।
তাল-কুড়ানি মেয়ে
চুপটি-খোকা বলবে কথা
তালের পিঠা খেয়ে। #
পাঁচপদী
(এক)
প্রান্তবাবু বেজায় কাবু অংক খাতা নিয়ে
যোগ বিয়োগের ভেল্কিবাজি মিলবে কত দিয়ে ?
নিয়মগুলো ভীষণ পাজি
মিলতে ওরা হয় না রাজি
খাতাটা কি রইবে আঁকা শূণ্য নম্বর নিয়ে !
(দুই)
টুপ করে ডুব দিয়ে ধরে মাছ- টেংড়া
পেঁয়াজের চচ্চড়ি খেয়ে নাচে- চেংড়া
আহা কী স্বাদ হলো রে
বলো না কে রাঁধলো রে
পায়ে বিঁধে কাঁটা সব হলো শেষে- লেংড়া !
(তিন)
শুনে শুনে হরদম কানে করে কচকচ
যেনো সে তো ছড়া নয় হাঁড় ভাজে মচমচ
কবিতা-ই ‘হবি’ না
সবলোক কবি না
কে বোঝাবে কবি হলে ‘হবি’টাই তছনছ ! #
Images N_C and
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment