‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই। তা প্রকাশ করতে যদি লজ্জাবোধ হয়, তবে সে ধরনের চিন্তা না করাই বোধ হয় ভাল।’ -- প্রাচীন গ্রীক কবি ইউরিপিডিস (৪৮০-৪০৬ খ্রীঃ পূঃ)
Saturday, May 24, 2008
# যে ডায়েরীটা লেখা হবে না আর...(২০)
যে ডায়েরীটা লেখা হবে না আর...(২০)
তারিখ: নেই (অনুমান এপ্রিল,১৯৯৩)
ঐ যুবকের পৃথিবীর সব নারী যেদিন ঐ নারীর কাছে পরাজিত হলো, ম্লান হয়ে গেলো, সেদিন সেই যুবক উল্লাসে ফেটে পড়ার বদলে কেমোন বিষন্ন হয়ে গেলো ! উল্লাসের স্রোতধারা অকস্মাৎ কীভাবে এমন বিষন্ন বরফ হয়ে যায়, বুঝতে পারে না সে। অবিরাম বকে যাওয়া যুবক জানলো না তার সব কথা থেমে গেলো- আটকে গেলো বুকের ভেতরে কোন্ অচেনা চরে। যুবকের ভেতরে আরেকটা যুবক জাগে, কোন্ সে কথার ভারে ?
রূপা, সমস্ত যুবকেরাই একদিন কবি হতে চায়। কেন সে চাওয়া, বলতে পারো ? কিসের তাড়নায় ওরা পাঁজরে লিখে নেয় প্রিয়তম নাম ! প্রিয়তম কথাটুকু সাজাতে সাজাতে সাজানো হলো না দেখে ক্লান্ত যুবক বুঝে ‘সব কিছু অধিকারে আসে না’। ইচ্ছে করলেই কেউ কবি হতে পারে না। বেদনার মন্থনে নীলকণ্ঠ ধরে কবি হতে হয়। অমৃত ছড়িয়ে তাঁরা মহাকালকে সমৃদ্ধ করে। সমৃদ্ধ হয় যুগে যুগে মানব-মানবীর চিরন্তন আশা- সোনার হরিণ খোঁজা। কবি না হওয়া অসহায় যুবকের কবিসত্ত্বা তাই কেঁদে ওঠে তার আপন ভাষায়-
‘যেখানে পাওয়ার আনন্দ, হোক সে বেদনা ;
সেখানেই হারানোর ভয়।
গুমরে ওঠে অনুরাগ অস্ফূট ব্যথায়-
মিথ্যে নয় পৃথিবীটা মিথ্যে নয় মানুষের মন,
আমিই নিথর কেবল !’
চলবে...
আগের পর্ব (১৯):
পরের পর্ব (২১):
R_d_B
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment