‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই। তা প্রকাশ করতে যদি লজ্জাবোধ হয়, তবে সে ধরনের চিন্তা না করাই বোধ হয় ভাল।’ -- প্রাচীন গ্রীক কবি ইউরিপিডিস (৪৮০-৪০৬ খ্রীঃ পূঃ)
Thursday, May 22, 2008
# যে ডায়েরীটা লেখা হবে না আর...(১৯)
যে ডায়েরীটা লেখা হবে না আর...(১৯)
তারিখ: নেই (অনুমান এপ্রিল,১৯৯৩)
রূপা, রহস্যের ধোঁয়া থেকে যুবকটি যে এভাবে উন্মোচিত হয়ে যাচ্ছে ঐ রহস্যময়ী নারীর কাছে, খুব ভয় হয়- কী জানি সে তার প্রিয়তমা নারীটির কাছে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে ! ভালোবাসাই তো রহস্যময় ! রহস্যের ঘেরাটোপ উঠে যাচ্ছে বলে এই নারীর স্বতঃস্ফূর্ত ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হলে... না না, যুবক ভাবতে পারে না, শিউরে উঠে তার পরিণতি কল্পনায়ও আসে না বলে ! ওহ্ ! কী ভয়ঙ্কর !
রূপা, প্রিয়তমা আমার, মীরের কণ্ঠে ভাঙাচোরা কণ্ঠ মিলিয়ে আমাকে কি কখনো বলতে হবে-
‘কহীঁ ঠহরনে কী জা য়হাঁ নহ্ দেখী ম্যঁয়নে মীর
চমনমেঁ আলম-এ ইমকাঁ কে জ্যয়সে আব্ ফিরা।’
(কোথাও এখানে একটু দাঁড়াবার ঠাঁই পেলাম না মীর, আমি যেন দুনিয়ার বাগিচায় প্রবহমান একটি জলধারা।)
না রূপা, ওকথা আমাকে কখনো বলতে দিও না তুমি। বলো, দেবে না তো ? যদি বেশি প্রকাশিত হয়ে পড়ি, যদি আমাকে ছেড়ে কখনো চলে যেতে হয়, তার আগেই তোমার রহস্যের আঁচল দিয়ে ঢেকে দিয়ো আমায়। অন্ততঃ তোমার কোলে মাথা রেখে একটু স্বস্তিতে মরতে দিয়ো। নইলে একদিন যাকে ভালোবেসেছিলে সেটুকু মনে করে কখনো কি মুহূর্তের জন্যেও আনমনা হবে না তুমি ?- যখন দেখবে-
‘লবোঁ পর হ্যয় হর লহ্জহ্ আহ-এ শরর বার
জলা হী পড়া হ্যয় হমারা তো ঘরবার।’
(আমার অধর ওষ্ঠে সর্বক্ষণ দীর্ঘশ্বাসের স্ফূলিঙ্গ, ঘরদুয়ার সব জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে আছে।)
... মীর তকী মীর।
চলবে...
আগের পর্ব (১৮):
পরের পর্ব (২০):
R_d_B
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment