| কালের স্মৃতিচিহ্ন | ঢাকা: খান মহম্মদ মির্ধা মসজিদ |
-রণদীপম বসু
…
লালবাগ কেল্লা থেকে উত্তর-পশ্চিমে সামান্য দূরে আতশখানায় এই সুদৃশ্য খান মহম্মদ মির্ধা মসজিদটির (Khan Muhammad Mirdha Mosque) অবস্থান। মূলত এটি চারদিকে দেয়াল দ্বারা বেষ্টিত একটি আবাসিক মাদ্রাসা-মসজিদ কমপ্লেক্স। কাজী ইবাদুল্লাহর নির্দেশে জনৈক খান মহম্মদ মির্ধা এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। ধারণা করা হয় কাজী ইবাদুল্লাহ ছিলেন ঢাকার প্রধান কাজী। তবে মসজিদটির নির্মাণকাল নিয়ে গবেষক মুনতাসীর মামুনের ‘ঢাকা স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী’ গ্রন্থের তথ্যমতে ফররুখসিয়ার যখন ঢাকার উপ শাসনকর্তা তখন ১৭০৬ সালে মসজিদটি নির্মিত হয়। প্রাচীনত্বের দিক থেকে এর অবস্থান সপ্তদশ। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি থেকে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক সমীক্ষামালা-২’ স্থাপত্য শীর্ষক গ্রন্থে এই কমপ্লেক্সটির নির্মাণকাল উল্লেখ করা হয়েছে ১৭০৪-০৫ সাল।
-রণদীপম বসু
…
লালবাগ কেল্লা থেকে উত্তর-পশ্চিমে সামান্য দূরে আতশখানায় এই সুদৃশ্য খান মহম্মদ মির্ধা মসজিদটির (Khan Muhammad Mirdha Mosque) অবস্থান। মূলত এটি চারদিকে দেয়াল দ্বারা বেষ্টিত একটি আবাসিক মাদ্রাসা-মসজিদ কমপ্লেক্স। কাজী ইবাদুল্লাহর নির্দেশে জনৈক খান মহম্মদ মির্ধা এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। ধারণা করা হয় কাজী ইবাদুল্লাহ ছিলেন ঢাকার প্রধান কাজী। তবে মসজিদটির নির্মাণকাল নিয়ে গবেষক মুনতাসীর মামুনের ‘ঢাকা স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী’ গ্রন্থের তথ্যমতে ফররুখসিয়ার যখন ঢাকার উপ শাসনকর্তা তখন ১৭০৬ সালে মসজিদটি নির্মিত হয়। প্রাচীনত্বের দিক থেকে এর অবস্থান সপ্তদশ। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি থেকে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক সমীক্ষামালা-২’ স্থাপত্য শীর্ষক গ্রন্থে এই কমপ্লেক্সটির নির্মাণকাল উল্লেখ করা হয়েছে ১৭০৪-০৫ সাল।

.
তিন গম্বুজঅলা এই মসজিদটির অন্যতম বিশেষত্ব হলো ৫.১৮ মিটার বা প্রায় সতের ফুট উঁচু নিম্নতল কক্ষ সম্বলিত প্লাটফর্মের উপর এর ভিত্তি। ৩৮ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩০.৪৮ মিটার প্রস্থ বিশিষ্ট আয়তাকার এই প্লাটফর্ম বা মঞ্চের নিচে টানা করিডোর, পাশে ছোট ছোট প্রকোষ্ঠ বা কক্ষ। পূর্বদিক ব্যতীত অন্য তিনদিক ব্যাপী এই ভল্টযুক্ত কক্ষগুলো নির্মিত। মঞ্চের উপর মুগল রীতিতে নির্মিত ৪৮ ফুট বাই ২৪ ফুট ত্রেবিশিষ্ট নামাজ ঘর বা মূল মসজিদ এবং এর উত্তর-পূর্বদিকে নির্মিত ইমারতটিকে মাদ্রাসা ভবন হিসেবে সনাক্ত করা হয়। সমতল ভল্ট বিশিষ্ট ছাদ দ্বারা আবৃত তিনটি কক্ষ এবং এই কক্ষসমূহের দক্ষিণে একটি টানা বারান্দা সমন্বয়ে মাদ্রাসা ভবনটি গঠিত। মঞ্চের উপর তিন গম্বুজ মসজিদ ও মাদ্রাসা ভবন ছাড়া অবশিষ্ট উন্মুক্ত অংশ শিক্ষার্থীদের পাঠদান কাজে ব্যবহৃত হতো বলে ধারণা করা হয়। তাই মনে করা হয় যে মঞ্চের নিম্নস্থ কক্ষগুলো মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষকদের বাসস্থান বা শয়নাগার হিসেবে নির্মিত হয়েছে।
.

.
উঁচু মঞ্চের পূর্বদিকে প্রায় মাঝামাঝি অবস্থানে বহুধাপ বিশিষ্ট একটি সংকীর্ণ সিঁড়িপথ রয়েছে। এই সিঁড়িপথের উপরাংশে খিলান সম্বলিত তোরণদ্বারের মাধ্যমে মসজিদ ও মাদ্রাসা সম্বলিত মঞ্চে উঠা যায়। এতো উঁচু ও এক চমৎকার ব্যতিক্রমী অবয়বের কারণে এই খান মহম্মদ মির্ধা মসজিদ কমপ্লেক্সটি সমসাময়িক কালে ঢাকায় নির্মিত একই রীতির অন্যান্য স্থাপনা অপেক্ষা অনেক বেশি আকর্ষণীয় ও সমৃদ্ধ বলে মনে হয়। বর্তমানে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধীনে মসজিদটি সংরক্ষিত।
.

.
# তথ্য সূত্র: ০১) স্থাপত্য / বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক সমীক্ষামালা-২ /
বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি।
০২) ঢাকা স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী / মুনতাসীর মামুন
…
…০২) ঢাকা স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী / মুনতাসীর মামুন
…
No comments:
Post a Comment