Saturday, May 10, 2008

# যে ডায়েরীটা লেখা হবে না আর...(১০)






যে ডায়েরীটা লেখা হবে না আর...(১০)

তারিখ: নেই (অনুমান এপ্রিল,১৯৯৩)


রূপা, তুমি হয়তো ভাবছো, হঠাৎ করে আমি এমোন ভাবাবেগে আচ্ছন্ন হলাম কী করে ! না রূপা, এ তুমি ঠিক বললে না। এই ঈপ্সিত ভাবাবেগে তাড়িত হবার সময় কোথায়, উপায়ই বা কী ? আমি আমরা যে বৃত্তে বাস করি, সেখানে ভাবাবেগ অচ্ছুৎ, নিষিদ্ধ। এ হলো সেই যুবকের- যে আমারই বুকের মধ্যে বাস করে।

জানো, জগতের কোন বিষয়কে এমন কি বিধাতাকেও বিনা প্রশ্নে ছেড়ে দিতে রাজী হতো না বলে যুবকটিকে সবাই, যারা তাকে দেখলো-দেখলো না, জানলো-জানলো না, বুঝলো-বুঝলো না সবাই, নাস্তিক আখ্যা দিয়ে দূরে সরিয়ে দিতে চাইলো। সে অনেক আগের কথা, তখনও মেয়েটিকে এমোন করে ভালোবাসেনি, ভালোবাসার অগ্নিদাহে জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে তরুণ থেকে যুবকে পরিণত হয়নি। এক নিঃসীম একাকীত্বে ছিটকে পড়া এই অসহায় তরুণের রইলো না কোন ধর্ম, কোন বর্ণ, কোন গোত্র। সবার মধ্যে থেকেও তার রইলো না কেউ। শুধু অনন্ত প্রতীক্ষার দিকে তাড়িয়ে বেড়ানো অবলম্বনহীন এক ছন্নছাড়া তরুণ মাত্র। ঠিক ঐ মুহূর্তেই সে কাছে এলো মেয়েটির। কোথায় কখন কীভাবে, এটা প্রধান বিষয় না হলেও পৃথিবীর কোন ঘটনাই তুচ্ছ নয়। নিয়তিই কি টেনে আনলো তাকে ! হয়তো বা।

প্রশ্ন করো, তারপর কী হলো ?
তার-পর..? সে অনেক কথা ! তারপর মেয়েটি কী করে যেনো নারী হয়ে ওঠলো ! তাঁর অপার্থিব সুন্দরের ‘সেই দীপ্তিহীন অগ্নির নির্দয় দাহনে পলে পলে দগ্ধ হলো’ তরুণ পুরুষ ; কোন্ অমরাবতীর অমিয় ধারায় সিঞ্চিত হয়ে তার দিকে পূর্ণদৃষ্টি মেলে দিলো আবেশে অবিনশ্বর যুবক !!

‘সখত্ কাফির থা জিননে পহলে মীর,
মজহব-এ ইশক্ এখতিয়ার কিয়া।’


(যে মীর একদিন কট্টর নাস্তিক ছিলো, আজ সে প্রেমধর্মে দীক্ষা নিল !)


চলবে...

আগের পর্ব (০৯):
পরের পর্ব (১১):
R_d_B

No comments: