Thursday, June 19, 2008

# যে ডায়েরীটা লেখা হবে না আর...(২২)








যে ডায়েরীটা লেখা হবে না আর...(২২)

তারিখ: নেই (অনুমান এপ্রিল,১৯৯৩)


‘বিচিত্র দুনিয়া, বিচিত্র দুনিয়ার মানুষ, আরো বিচিত্র মানুষের মন।’

রূপা, মেয়েটি, যুবকের প্রিয়তমা ঐ নারী, যেদিন তার সমস্ত দুঃখের জন্য দায়ী করে যুবকটিকে ক্ষুব্ধ অনুযোগ করলো, সেদিন যুবকটির কী হতে গিয়ে কী জানি কী হয়ে গেলো। ঐ নারী তার কতটুকু অধিকারে আছে এমন দোলাচলে বিনিদ্র রাত আর দিন একাকার হয়ে যুবক যখন দিশেহারা, নারীর আর্ত অনুযোগ কী বয়ে আনলো অন্ধ যুবক তা কি বুঝলো ? এক নারী একটি যুবকের অক্ষম কষ্ট ধারণ করে নীরবে বয়ে চলে- কোন নিঃসঙ্গ যুবকের কাছে এর চেয়ে বড় পাওয়া দুনিয়াতে আর কী আছে ? জানা নেই। অথচ ঐ যুবকের আনন্দে মরে যাবার বদলে তারও পাল্টা অনুযোগই বেরিয়ে এলো ! তবে কি হারানোর সব ভয় সরে যাওয়ায় যা ইচ্ছে করার অধিকার পেয়ে গেলো সে ! আমি জানি না রূপা। তুমি কি জানো কেন এমন হয় ? এ-ই কি প্রেমিক মনের অধিকার সচেতনতা !

অধিকার যেখানে প্রশ্নমুক্ত, সেখানেই কি মানুষ আনন্দ এবং কষ্টের মধ্যে কোন ভিন্নতা না এনে এমোন নির্দ্বিধায় প্রিয়জনকে কষ্ট দিয়ে যায় ? এ জন্যেই কি মেয়েটির নির্দ্বিধ ক্ষুব্ধ অনুযোগের বিপরীতে যুবকটিও দ্বিধাহীন তার ক্ষুব্ধতা ঢেলে দিলো ?

রূপা, এখনো কি আমার সে-ই অধিকার জন্মায়নি, যাতে সমস্ত আনন্দ ও বেদনার মধ্যে কোন বিভেদ না এনেই তা নির্দ্বিধায় তোমাকে দিয়ে যেতে পারি ? এবং অনায়াসে তোমারটুকুও আমি পেতে পারি নিরন্তর !

‘তুমি যখন বলো পাগল হয়ে যাবে, তার আগে আমিই পাগল হয়ে যাই। দোহাই তোমার, এই বুকের মধ্যেই যেমন খুশি পাগল হয়ো তুমি, আর আমাকেও হতে দিয়ো বদ্ধ পাগল ; ঠিক তোমার ওখানটাতেই !’


চলবে.....


আগের পর্ব (২১):
পরের পর্ব (২৩):
R_d_B

No comments: