Friday, November 4, 2011

| ঘড়ায়-ভরা উৎবচন…| ২৯১-৩০০ |

.
| ঘড়ায়-ভরা উৎবচন…| ২৯১-৩০০ |
-রণদীপম বসু

(২৯১)
ধর্ম নিয়ে জন্মায় না কেউ; যার যে কর্ম বা আচরণ, সেটাই তার ধর্ম।
 .
(২৯২)
চিন্তা হলো নদীর মতো, স্রোত হারালে মরে যায়।
 .
(২৯৩)
‘ইগো’ হচ্ছে মানুষের সেই প্রতিদ্বন্দ্বি সত্তা,
যার কাছে নিশ্চিত পরাজয়েও মানুষ অপমান বোধ করে না। 

 .
(২৯৪)
জগতে সঠিক পথ একটাই,
যাকে মানুষ নিজে সঠিক বলে মনে করে।
 .
(২৯৫)
মুদ্রার উভয় পিঠ কখনো এক হয় না;
মানুষের আটপৌরে ও সামাজিক সত্তা এক হয়ে যাওয়াটাও কৃত্রিম।
 .
(২৯৬)
প্রতীক্ষা যতক্ষণ না-ফুরায়, ততক্ষণই আনন্দের;
সান্নিধ্য মানেই বিচ্ছেদের শুরু।
 .
(২৯৭)
প্রতিটা পাওয়ার মধ্যেই একেকটা হারানোর দুঃখের জন্ম।
 .
(২৯৮)
নিজেরাই নির্মাতা বলে আইন হয় শাসকের পক্ষে; আর
শাসিতকে মোহাবিষ্ট করতে যে সুন্দর কথামালার সৃষ্টি করা হয়
সেগুলো ভণ্ডামি।
 .
(২৯৯)
‘হও বললেই হয়ে যাওয়ার ক্ষমতাধর ঈশ্বর হচ্ছেন সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান
এবং সৃষ্ট জগত তাঁর ইচ্ছার অধীন।’- এই সারকথাটুকু
মানুষকে বোঝানোর জন্য ঈশ্বরের চেষ্টার অন্ত নেই;
যুগে যুগে কতো প্রতিনিধি পাঠাতে হচ্ছে তাঁকে !
 .
(৩০০)
স্পষ্ট কথা পছন্দ করেন না এমন স্বীকারোক্তি পাওয়া যেমন দুষ্কর,
স্পষ্ট কথা হজম করতে পারেন তেমন ব্যক্তিও বিরল। এরকম পরস্পরবিরোধী দুটো অবস্থা
একইসাথে সত্য ও স্থিত হওয়ার রসায়নেই লুকিয়ে আছে বাঙালির মানসিক জগৎ।

No comments: