Sunday, March 18, 2012

| চাণক্যজন কহেন…০৫ |নীতিকথা-০২|

.
| চাণক্যজন কহেন…০৫ |নীতিকথা-০২|
-রণদীপম বসু

পণ্ডিতে চ গুণাঃ সর্বে মূর্খে দোষা হি কেবলম্ ।
তস্মান্মূর্খসহস্রেভ্যঃ প্রাজ্ঞ একো বিশিষ্যতে।। ০২।। (চাণক্য নীতিশাস্ত্র)।
অর্থাৎ : পণ্ডিত ব্যক্তি সকল গুণের আর মূর্খ ব্যক্তি সকল দোষের আধার- এ ব্যাপারে সন্দেহের অবকাশ নেই। তাই সহস্র মূর্খ অপেক্ষা একজন পণ্ডিত বিশিষ্ট বা অধিকতর গ্রাহ্য রূপে পরিগণিত হন। 

.
মূর্খ ব্যক্তির চেয়ে পণ্ডিত ব্যক্তি অধিকতর গুণবান হবেন, সম্ভাব্যতার বিচারে তা মেনে নিতেই পারি আমরা।  কিন্তু মূর্খ ব্যক্তি সকল দোষের আধার- (নিজে মূর্খ বলেই) এরকম একটা সন্দেহাতীত ঘোষিত নিশ্চিত সিদ্ধান্তকে হজম করার আগে কিঞ্চিৎ ভাবনার দরকার নয় কি ? প্রথমত মূর্খ বলতে চাণক্য কাদের বুঝিয়েছেন, আর পণ্ডিতই বা কারা ? সাধারণ জ্ঞানে বলা হয়, বিভিন্ন শাস্ত্রের অধ্যয়ন প্রভৃতির মাধ্যমে যিনি পাণ্ডিত্য অর্জন করেন তিনিই পণ্ডিত। কিন্তু সাধারণ জ্ঞান আর বিশেষ জ্ঞানের মধ্যে যে ব্যাপক ফারাক ! বিশেষ করে নীতিশ্লোক রচয়িতা চাণক্যের সময়কালও বিবেচনায় রাখাটা জরুরি বটে। সেক্ষেত্রে তৎকালীন সকল শাস্ত্রের আধার সমাজের অবশ্যপালনীয় স্মৃতিশাস্ত্র ‘মনুসংহিতা’য় মনু কী বলেছেন দেখি-
বিপ্রাণাং জ্ঞানতো জ্যৈষ্ঠং ক্ষত্রিয়াণান্তু বীর্যতঃ।
বৈশ্যানাং ধান্যধনতঃ শূদ্রাণামেব জন্মতঃ।। ২ / ১৫৫।। (মনুসংহিতা)।
অর্থাৎ : ব্রাহ্মণদের শ্রেষ্ঠত্ব হয় জ্ঞানের আধিক্যের দ্বারা, ক্ষত্রিয়দের শ্রেষ্ঠত্ব অধিক বীর্যবত্তার দ্বারা, বৈশ্যের শ্রেষ্ঠত্ব ধন-ধান্যাদি প্রভৃতি বেশি সম্পত্তির দ্বারা এবং শূদ্রদের শ্রেষ্ঠত্ব হয় তাদের জন্মের অগ্র-পশ্চাৎ বিবেচনার উপর (অর্থাৎ কেবল বয়সে বৃদ্ধ হলেই কোনও শূদ্র তার জাতির অন্য লোকদের কাছে মান্য হয়)। 
বর্ণাশ্রম প্রথায় বিভাজিত তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থায় বর্ণশ্রেষ্ঠ ব্রাহ্মণ জন্মমাত্রই জগতকে কৃতার্থ করে দেন, কারণ জন্মসূত্রেই তিনি অন্য তিন বর্ণ অর্থাৎ ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্রের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। 

 ব্রাহ্মণো জায়মানো হি পৃথিব্যামধিজায়তে।
ঈশ্বরঃ সর্বভূতানাং ধর্মকোষস্য গুপ্তয়ে।। ১ / ৯৯।। (মনুসংহিতা)।
অর্থাৎ : ব্রাহ্মণ জন্মগ্রহণ করা মাত্রই পৃথিবীর সকল লোকের উপরিবর্তী হন অর্থাৎ সমস্ত লোকের অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হন। কারণ, ব্রাহ্মণই সকলের ধর্মকোষ অর্থাৎ ধর্মসমূহ রক্ষার জন্য প্রভূসম্পন্ন হয়ে থাকেন [কারণ, ব্রাহ্মণের উপদেশেই অন্য সকলের ধর্মের অনুষ্ঠান হয়ে থাকে]।

অতএব তিনি অন্য সবার জন্যেই অবশ্য-সম্মানীয়। এমনকি তাঁর মহান কাজও নির্দিষ্ট করা আছে শাস্ত্রে- শাস্ত্র-অধ্যয়ন, অধ্যাপনা এবং জগতের সকল বিষয়ে শুভ-অশুভ, ধর্ম-অধর্ম ইত্যাদি নির্ধারণ। অর্থাৎ জ্ঞানের রাজ্যে বিচরণের অপ্রতিদ্বন্দ্বী বৈধ অধিকারী কেবল ব্রাহ্মণই। তবে ব্রাহ্মণের মুখ থেকে শাস্ত্র শ্রবণের অধিকার ক্ষত্রিয় ও বৈশ্যের থাকলেও বর্ণদাস শূদ্র সেখানে গুনাতেই আসে না। বরং লুকিয়ে বা অসতর্কভাবেও শাস্ত্রবাক্য শূদ্রের কানে পৌঁছে গেলে তার কানে গরম সীসা ঢেলে দেয়ার বিধান শাস্ত্রেই নির্দেশ করা আছে। ফলে পাণ্ডিত্যের পাল্লাটা যে ব্রাহ্মণের দিকেই হেলে পড়বে তাতে আর সন্দেহ কী ! তাহলে ব্রাহ্মণ হলেই কি তিনি পণ্ডিতের খেতাব পেয়ে যাচ্ছেন ? তাও নয়। শাস্ত্রানুযায়ী ব্রাহ্মণদের নিজেদের মধ্যেও মান্যতার মাপকাঠিতে পর্যায়ক্রমিক একটা রকমফের রয়েছে-
বিত্তং বন্ধুর্বয়ঃ কর্ম বিদ্যা ভবতি পঞ্চমী।
এতানি মান্যস্থানানি গরীয়ো যদ্যদুত্তরম্ ।। ২ / ১৩৬।। (মনুসংহিতা)
অর্থাৎ : (সজাতীয় লোকেদের মধ্যে) ন্যায়ার্জিত ধন, পিতৃব্যাদি রক্তসম্মন্ধ, বয়সের আধিক্য, শ্রুতি-স্মৃতি-বিহিত কর্ম, এবং বেদার্থতত্ত্ব অর্থাৎ জ্ঞানরূপ বিদ্যা- এই পাঁচটি মান্যতার কারণ; এদের মধ্যে পর পরটি অধিকতর সম্মানের হেতু বলে জানবে [অর্থাৎ ধনী অপেক্ষা পিতৃব্যাদি-রক্তসম্বন্ধযুক্ত বন্ধু, বন্ধু অপেক্ষা বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তি, বয়োবৃদ্ধ অপেক্ষা শাস্ত্রবিহিত কর্মের অনুষ্ঠানকারী, এবং অনুষ্ঠানকারী অপেক্ষা তত্ত্বজ্ঞানী ব্যক্তিকে বেশি মান্য বলে জানবে]।
 .
ব্রাহ্মণেষু তু বিদ্বাংসো বিদ্বৎসু কৃতবুদ্ধয়ঃ।
কৃতবুদ্ধিষু কর্তারঃ কর্তৃষু ব্রহ্মবেদিনঃ।। ১ / ৯৭।। (মনুসংহিতা)।
অর্থাৎ : ব্রাহ্মণগণের মধ্যে (মহাফলপ্রদ জ্যোতিষ্টোম ইত্যাদি যজ্ঞাধিকারী) বিদ্বানেরা শ্রেষ্ঠ; বিদ্বানদের মধ্যে যাঁরা কৃতবুদ্ধি (অর্থাৎ বেদাদিশাস্ত্রে নিষ্ঠাবান বা শাস্ত্রীয় কর্মানুষ্ঠানে যাঁদের কর্তব্যবুদ্ধি আছে), তাঁরাই শ্রেষ্ঠ; কৃতবুদ্ধি ব্যক্তিদের মধ্যে আবার যাঁরা শাস্ত্রীয় কর্মের অনুষ্ঠাতা, তাঁরাই শ্রেষ্ঠ; আবার শাস্ত্রোক্তকর্মানুষ্ঠানকারীদের মধ্যে ব্রহ্মবিদগণ (অর্থাৎ জীবন্মুক্ত ব্রহ্মজ্ঞানী লোকেরা) শ্রেষ্ঠ।

অতএব আমাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে যায় যে, তৎকালীন সমাজব্যবস্থায় অধিকতম সম্মানের অধিকারী ছিলেন তত্ত্বজ্ঞানী ব্রাহ্মণরা যাঁরা বেদকে প্রামাণ্য মেনে শাস্ত্রবিহিত কর্ম পালন করে বেদার্থতত্ত্ব বিদ্যা আয়ত্ত করেছেন। তাঁরাই ছিলেন সমাজের চোখে তত্ত্বজ্ঞানী পণ্ডিত। অন্যদিকে মূর্খ তো ওরাই, যারা কোনরূপ বিদ্যার্জন থেকে দূরে রয়েছে। সে বিবেচনায় শূদ্ররা যে মহামূর্খ তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে ! কিন্তু সমাজ-কাঠামোর জীয়নযন্ত্র তথা সামগ্রিক উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সচল ও সক্রিয় বৃহত্তর জনগোষ্ঠি এই শূদ্রদেরকে কারা বেদ ও ব্রহ্মার দোহাই দিয়ে সুকৌশলে মূর্খ বানিয়ে রাখতে চেয়েছে- সে প্রশ্নটি নির্দ্বিধায় করে ফেলে যারা এর প্রতিকার চেয়েছেন, তারা তো বেদের নিন্দাকারী নাস্তিক। তাদেরকে সম্মান করার প্রশ্নই আসে না ! নইলে কি এরা এভাবে বলে-
অগ্নিহোত্রং ত্রয়ী তন্ত্রং ত্রিদণ্ডং ভস্মপুণ্ড্রকম্ ।
প্রজ্ঞাপৌরুষনিঃস্বানাং জীবো জল্পতি জীবিকাম্ ।। ৩।। (চার্বাকষষ্ঠী)।
অর্থাৎ : (বৃহস্পতি বলেন)- হোম, বেদবিহিত কার্যকলাপ, পাশুপত ব্রত ও ভস্ম তিলক হলো প্রজ্ঞাশক্তিহীন ব্যক্তিদের জীবিকা। 
মনুসংহিতায় (২ / ১১) এইসব বেদনিন্দুক নাস্তিকদেরকে সমাজ থেকে বহিষ্কার করার কথা স্পষ্ট করেই বলে দেয়া হয়েছে। ফলে এরা যত শাস্ত্র-অধ্যয়নকারী প্রাজ্ঞ যুক্তিশীলই হোন না কেন, তাঁদেরকে ওই ব্রাহ্মণ্যশাসনের যুগে পণ্ডিত হিসেবে মান্য করার কোন দৃষ্টিভঙ্গি চাণক্যশাস্ত্রে পাওয়া যায় না। তখনকার সমাজ-শাসকদের দৃষ্টিভঙ্গি ছিলো এমনই, অন্তত নীতিশাস্ত্রের সমাজচিত্র তা-ই বলে। এই শাস্ত্রবিহিত পণ্ডিত হতে হলে অন্য গুণ যা-ই হোক, বেদাদি শাস্ত্রে আগ্রহ ও বিশ্বাস থাকতেই হবে। এই গুণ না-থাকলে মহাত্মা হওয়া যায় না। তাই তো সেকালের কবিশ্রেষ্ঠ ভর্তৃহরির নীতিশতকেও আমরা দেখতে পাই-
বিপদি ধৈর্যমথাভ্যুদয়ে ক্ষমা
সদসি বাক্পটুতা যুধি বিক্রমঃ।
যশসি চাভিরতিব্যসনং শ্রুতৌ
প্রকৃতিসিদ্ধমিদং হি মহাত্মনাম্ ।। ৬৩।। (ভর্তৃহরির নীতিশতক)।
অর্থাৎ : বিপদে ধৈর্য (ধারণ), সম্পদে অনৌদ্ধত্য, সভায় বাকপটুতা, সংগ্রামে শৌর্য, খ্যাতির প্রতি অভীপ্সা এবং বেদাদি শাস্ত্রের প্রতি আসক্তি- এসব (হচ্ছে) মহাত্মাদের স্বভাবসিদ্ধ (গুণ)।
দৃষ্টিভঙ্গির এই ধারা দু’হাজার বছর পেরিয়ে একালে এসেও বৃহত্তর জনগোষ্ঠির মধ্যে খুব একটা হেরফের হতে আজো কি দেখতে পাই আমরা ? বর্তমান সমাজেও দেখি কোন ব্যক্তির চারিত্রিক সদাচারের অন্যতম উজ্জ্বল ও আবশ্যক গুণ হিসেবে বিবেচিত হয় ধর্মচর্চায় তিনি কতোটা নিষ্ঠা দেখাচ্ছেন তার উপর। কিন্তু ধর্মচর্চায় ব্রতী হলেই তিনি যে উন্নত চরিত্রের হবেন এমন নিশ্চয়তা কি কেউ দিতে পারে ? বরং ধর্মশাস্ত্র-পুরাণেই দেখি ধর্মনীতির নামে যুগে যুগে মানবেতিহাসের কতো অমানবিক অনৈতিক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে ধর্মের দোহাই তুলে। শাস্ত্রবিধিতেও রয়েছে যতো পক্ষপাতদুষ্ট চতুরতার ভূরিভূরি নিদর্শন। অপ্রাসঙ্গিক না-হলে এ প্রেক্ষিতে নমুনা হিসেবে পরিপূরক দুটো শাস্ত্রবিধি উদ্ধৃত করা যায়, যেমন-
ন বৃথা শপথং কুর্যাৎ স্বল্লেহপ্যর্থে নরো বুধঃ।
বৃথা হি শপথং কুর্বন্ প্রেত্য চেহ চ নশ্যতি।। ৮ / ১১১।। (মনুসংহিতা)।
অর্থাৎ : পণ্ডিত ব্যক্তি তুচ্ছবিষয়ের জন্য বৃথা শপথ করবেন না। বৃথা শপথকারীর ইহলোকে কীর্তি নষ্ট হয় এবং পরলোকে নরকভোগ করতে হয়।
.
কামিনীষু বিবাহেষু গবাং ভক্ষ্যে তথেন্ধনে।
ব্রাহ্মণাভ্যুপপত্তৌ চ শপথে নাস্তি পাতকম্ ।। ৮ / ১১২।। (মনুসংহিতা)।
অর্থাৎ : ‘আমি অন্য কোনও নারীকে চাই না, তুমিই আমার প্রাণেশ্বরী’- সুরতলাভের জন্য অর্থাৎ কাম চরিতার্থ করার জন্য কামিনীবিষয়ে (অর্থাৎ স্ত্রী, বেশ্যা প্রভৃতির কাছে) মিথ্যা শপথ করা হলে পাপ হয় না। ‘তুমি অন্য কোনও নারীকে বিবাহ করতে পারবে না কিংবা তুমি অন্য কোনও পুরুষকে বিবাহ করতে পারবে না’- এই প্রকারে স্বীকার করা সত্ত্বেও নিজের জন্য বা বন্ধুবান্ধবের জন্য বিবাহবিষয়ে মিথ্য বলায় দোষ নেই। গরুর ঘাস প্রভৃতি খাদ্য বিষয়ে, যজ্ঞ হোমের জন্য কাষ্ঠাদি আহরণ বিষয়ে, এবং ব্রাহ্মণের উপকার করার জন্য মিথ্যা বললে দোষ হয় না।
পণ্ডিত ব্রাহ্মণের কাছে যে সুরতলাভ বা কাম চরিতার্থ করা তুচ্ছবিষয় ছিলো না তা মনুশাস্ত্রের দুটো ক্রমিক শাস্ত্রবিধানের উদ্ধৃতি থেকে না-বুঝার কথা নয়। প্রায় আড়াই-হাজার বছরের প্রাচীন কীর্তি চাণক্যের যে-কোন নীতিশ্লোকের প্রকৃত তাৎপর্য বুঝতে হলে সেই সমাজের সার্বিক আবহ ও দৃষ্টিভঙ্গির পর্যালোচনা তাই জরুরি বলে মনে হয়। এবং এতোকাল পরে এসে এখনো এসব নীতিশ্লোকের সামাজিক প্রভাব বিশ্লেষণ করলে আমাদের বর্তমান সমাজ-ব্যবস্থার নাড়ির স্পন্দনটাও টের পাওয়ার যায় সহজেই। তবে এ ধরনের নীতিশ্লোকের সবচাইতে বড় প্রভাববিস্তারী সামর্থটা হলো সমকালীন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েও এর চিরায়ত রূপ গ্রহণের ক্ষমতা। সময়ের সাথে মানবসমাজের জীবনাচার ও ভাবনাস্রোতে যে ইতিবাচক বিবর্তন ঘটে যায় তার সমকালীন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বিশ্লেষণ করলেও এই নীতিশ্লোকগুলির গ্রহণযোগ্যতা একটুও ক্ষুণ্ন হয় না। তাই বর্তমান নীতিশ্লোকটির উল্লিখিত পণ্ডিত ব্যক্তি যদি সেকালের কূপমণ্ডূক শাস্ত্রবেত্তা কোন একচক্ষু পণ্ডিত না হয়ে সমাজ-সভ্যতাকে সামনে এগিয়ে নেয়ার নতুন নতুন পথ সৃষ্টিকারী মানবদরদী কোন বিজ্ঞানমনস্ক সৃজনশীল ব্যক্তিত্ব হন, এবং মূর্খ বলতে যদি প্রাগৈতিহাসিক ধ্যান-ধারণা স্থবিরতায় আক্রান্ত সৃজনশীলজ্ঞান-বিমুখ কূপমণ্ডূক ব্যক্তিবর্গকে বোঝায়, তাহলে মানবসভ্যতার যে-কোন সময়কালের জন্যেই চাণক্যের এই নীতিশ্লোক আমাদের কাছে চিরকালীন প্রাসঙ্গিক হয়ে ধরা দেয়। জ্ঞান-অন্বেষায় সামনে এগিয়ে যেতে নিজের অবস্থান চিহ্নিত করতে পেছনে ফিরে তাকানো যেতে পারে, কিন্তু পেছনে হাঁটার প্রয়োগসিদ্ধতা আদৌ কি আছে ?
(চলবে…)
… 
[ sachalayatan ]
... 

No comments: