Thursday, August 9, 2012

| বৈশেষিক দর্শন…০৭ : বিশেষ |

 .
| বৈশেষিক দর্শন…০৭ : বিশেষ |
রণদীপম বসু

২.৫ : বিশেষ (Individuality)
.
বৈশেষিক স্বীকৃত সপ্তপদার্থের মধ্যে অন্যতম পদার্থ হলো বিশেষ। কারো কারো মতে বিশেষ পদার্থ স্বীকার করার জন্যই এই সম্প্রদায় বৈশেষিক সম্প্রদায় নামে পরিচিত। বৈশেষিক সম্মত সপ্তপদার্থের অনেক পদার্থই অন্যান্য দর্শন সম্প্রদায়ে আলোচিত হয়েছে। কিন্তু বিশেষ পদার্থ কেবল বৈশেষিক দর্শনেই আলোচিত হয়েছে। সাধারণ অর্থে যা কোন পদার্থকে বিশিষ্ট করে তাকেই বিশেষ বলা হয়। কিন্তু বৈশেষিক দর্শনে ‘বিশেষ’ পদটি পারিভাষিক অর্থে ব্যবহৃত হয়।


বাৎস্যায়নের ন্যায়ভাষ্য অনুযায়ী-

‘বিশেষয়তি ইতরেভ্যঃ ব্যাবর্তয়তি ইতি বিশেষঃ’। (ন্যায়ভাষ্য: ২/১/৩২)।
অর্থাৎ : যা কোন পদার্থকে বিশিষ্ট করে অর্থাৎ অন্যের থেকে ভিন্ন করে, তাই বিশেষ।
 .
অর্থাৎ কোন পদার্থের ভেদক ধর্মই তার বিশেষ। বিশেষ হলো এক বিশেষ প্রকারের ব্যাবর্তক বা ভেদক। সাধারণভাবে নাম, জাতি, গুণ, ক্রিয়া, অবয়ব প্রভৃতি পদার্থের ব্যাবর্তক বা ভেদকরূপে গৃহিত হয়। নামের দ্বারা, জাতির দ্বারা, গুণের দ্বারা, ক্রিয়ার দ্বারা এবং অবয়বের দ্বারা একটি পদার্থকে অন্যান্য পদার্থ থেকে ব্যাবৃত্ত বা পৃথক করা হয়। কিন্তু এই ব্যাবর্তকগুলি চরম ব্যাবর্তক নয়। যেমন ঘটে আছে যে ঘটত্ব ধর্ম, সেই ঘটত্বই ঘটটির বিশেষ। কারণ ঘটত্ব ধর্মই ঘটটিকে পট ইত্যাদি থেকে ব্যাবৃত্ত বা পৃথক করে। ঘটের ঘটত্বজাতি ঘটকে পটাদি থেকে ব্যাবৃত্ত করলেও একটি ঘটকে অপর একটি ঘট থেকে ব্যাবৃত বা পৃথক করে না। গুণ বা ক্রিয়ার দ্বারা একটি ঘটকে অপর একটি ঘট থেকে ব্যাবৃত্ত করা যেতে পারে। যেমন, একটি লালবর্ণের ঘট একটি শ্যামবর্ণের ঘট থেকে ভিন্ন। এখানে লাল ঘটের লালবর্ণ ঘটটির বিশেষ। আবার যদি দুটি ঘটই লাল হয় ? যদিও বৈশেষিক মতে গুণ ব্যক্তিগত অর্থাৎ ব্যক্তিভেদে গুণ ভিন্ন, তবু দুটি লাল ঘটের ভেদ নির্ণয় তাদের গুণের দ্বারা সম্ভব হয় না। কারণ ঐ দুটি ঘটের ভিন্ন দুটি লালবর্ণ স্বজাতীয় এবং লালবর্ণের অনুগত প্রতীতির জনক। ব্যক্তির ভেদের দ্বারাই তাদের ভেদ সিদ্ধ হয়। ফলে দুটি লাল ঘটের ক্রিয়া যদি ভিন্ন হয় তাহলে তাদের ক্রিয়ার দ্বারা তাদের ভেদ সাধন করা যায়। কিন্তু তাদের ক্রিয়াও যদি একই হয়, তাহলে তাদের অবয়বের ভিন্নতা দ্বারা উভয়ের মধ্যে ভেদ সাধন করতে হয়। এইভাবে দেখা যায় যে, জাত্যাদি ব্যাবর্তক অন্য ব্যাবর্তকের অপেক্ষা করে অর্থাৎ এদের কোনটিই চরম ব্যাবর্তক নয়। এইসব ব্যাবর্তক থেকে বিশেষকে পৃথক করার জন্য বিশেষকে অন্ত্যব্যাবর্তক বলা হয়। অর্থাৎ বিশেষ কোন সাধারণ ভেদক ধর্ম নয়। বিশেষ হলো সেই চরম ব্যাবর্তক, যার পর আর কোন ব্যাবর্তক নেই।
 .
প্রকৃতির দিক থেকে বিশেষ পদার্থ সামান্য পদার্থের ঠিক বিপরীত। সামান্য পদার্থ অনুগত প্রতীতির হেতু। বিপরীতভাবে, বিশেষ পদার্থ ব্যাবৃত্তি-প্রতীতির হেতু। বিশেষের জন্যই সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম পরমাণুসকল এবং অন্যান্য নিত্য দ্রব্যের পারস্পরিক ব্যাবৃত্তি-বুদ্ধি (ভেদজ্ঞান) সম্ভব হয়।
ভাষ্যকার প্রশস্তপাদাচার্য উদ্দেশ প্রকরণে বিশেষ পদার্থের নিরূপণে মহর্ষি কণাদের উদ্ধৃতি করেছেন-

‘নিত্যদ্রব্যবৃত্তয়ো হি অন্ত্যা বিশেষাঃ’।
অর্থাৎ : অন্ত্যনিত্যদ্রব্যবৃত্তি পদার্থকে বিশেষ বলে। অর্থাৎ, যে পদার্থ কেবল নিত্যদ্রব্যেই সমবায় সম্বন্ধে বর্তমান থেকে তাদের পারস্পরিক সর্বশেষ ব্যাবৃত্তি-বুদ্ধি (চরম ভেদজ্ঞান) উৎপন্ন করে, তাই বিশেষ।
 .
এখানে ‘নিত্যদ্রব্যবৃত্তয়ো’ পদটি বিশেষ স্থাননির্দেশক। ‘অন্ত্য’ পদটি বিশেষের লক্ষণের সূচক। অন্তে অর্থাৎ ব্যাবর্তকের অবসানে থাকে বলে বিশেষের নাম অন্ত্য। অন্ত্য-বিশেষ অর্থ চরম বিশেষ বা চরম ব্যাবর্তক ধর্ম। চরম ব্যাবর্তক ধর্ম বলতে আমরা তাকেই বুঝি যা অন্য ব্যবর্তক ধর্মকে অপেক্ষা করে অন্য পদার্থ থেকে ব্যবর্তিত হয় না।
 .
যদিও বস্তুর ভেদক ধর্মকে বিশেষ বলে। তবু জাতি, গুণ প্রভৃতি সকলেই ভেদবুদ্ধির জনক হলেও জাতি, গুণ প্রভৃতি ‘জাতিবিশেষ’, ‘গুণবিশেষ’ ইত্যাদি নামে অভিহিত করা হয়ে থাকে এবং কেবলমাত্র বিশেষকে অন্ত্যবিশেষ বলা হয়েছে। ফলে যৌগিক দ্রব্যের ব্যাবৃত্তি পার্থক্য ব্যাখ্যা করার জন্য কোন অন্ত্যবিশেষ বা বিশেষের প্রয়োজন হয় না। কেননা যৌগিক দ্রব্য তাদের অংশের পার্থক্যের জন্য পরস্পর ভিন্ন বলে স্বীকৃত হয়। কেবল অংশহীন নিত্য দ্রব্যগুলির পৃথকত্ব ব্যাখ্যা করবার জন্যেই বিশেষের প্রয়োজন।
 .
কণাদের মতে তাই বিশেষ নামক পদার্থটি নিত্য দ্রব্যে সমবায় সম্বন্ধে বর্তমান থেকে একটি নিত্য দ্রব্য থেকে অন্য নিত্য দ্রব্যের পৃথকত্ব নির্দেশ করে। তাই প্রতিটি নিত্য দ্রব্যে একটি করে বিশেষ থাকে এবং বিশেষ নিজেও নিত্য পদার্থ। ফলে বিশেষ সংখ্যায় বহু। প্রত্যেকটি বিশেষ কেবল একটি নিত্য দ্রব্যকে আশ্রয় করে থাকে। বৈশেষিকেরা বলেন, বিশেষ পদার্থ যে কেবল প্রত্যেক পরমাণুতে আছে তা নয়। প্রত্যেক নিত্য দ্রব্যেই একটি করে বিশেষ আছে। বদ্ধ আত্মা তার নিজস্ব সুখ, দুঃখের দ্বারা অন্য আত্মা থেকে বিশিষ্ট হতে পারে। সুতরাং এই সুখ, দুঃখই বদ্ধ আত্মার ভেদক ধর্ম। কিন্তু সকল মুক্ত আত্মা সমান গুণবিশিষ্ট এবং একই আত্মত্ব জাতিবিশিষ্ট বলে প্রত্যেক আত্মায় একটি করে বিশেষ স্বীকার করতে হবে।
 .
আবার মন নামক দ্রব্যও অসংখ্য এবং সমান ধর্মবিশিষ্ট। তাদের পরস্পরের ভেদও যোগীদের প্রত্যক্ষের বিষয় হয় বলে স্বীকার করা হয়। এজন্য প্রত্যেক মনে একটি করে বিশেষ স্বীকার করা হয়েছে।
 .
তাছাড়া দিক্, কাল ও আকাশেও একটি করে বিশেষের অস্তিত্ব স্বীকার করা হয়েছে। কিন্তু দিক্, কাল ও আকাশ নামক নিত্য দ্রব্য সংখ্যায় বহু নয়। দিক্, কাল কোন জাতিবিশিষ্টও নয়। এই দুই দ্রব্যেরই কেবলমাত্র সংখ্যা, পরিমাণ, পৃথকত্ব, সংযোগ ও বিভাগ- এই সামান্য গুণগুলি আছে, কোন বিশেষ গুণ নেই। তাহলে কোন্ ধর্ম দিককে কাল থেকে বিশিষ্ট করবে ?
এ কারণে ন্যায়-বৈশেষিক দার্শনিকরা দিক্ ও কালেও একটি করে ভেদক ধর্ম স্বীকার করেছেন। দিক্ দ্রব্যে সমবেত, বিশেষ তার ভেদক ধর্ম। কাল দ্রব্যে সমবেত, বিশেষ তার ভেদক ধর্ম। আকাশেও বিশেষ নামক একটি ধর্ম স্বীকার করা হয়েছে এবং আকাশে যে শব্দের সমবায়িকারণতা আছে, এই বিশেষকেই তার অবচ্ছেদক ধর্ম বলা হয়েছে।
 .
মূলত পরবর্তীকালের ন্যায় ও বৈশেষিক দার্শনিকেরা মহর্ষি কণাদের নির্দেশিত লক্ষণকে অনুসরণ করেই বিশেষের স্বরূপ বর্ণনা করেছেন। অন্নংভট্ট তর্কসংগ্রহে বিশেষের লক্ষণ দিয়েছেন-

‘নিত্যদ্রব্যবৃত্তয়োঃ ব্যবর্তকাঃ বিশেষাঃ’। (তর্কসংগ্রহ)।
অর্থাৎ : যা নিত্যদ্রব্যসমূহে থাকে এবং তাদেরকে পরস্পর থেকে ব্যাবৃত্ত বা পৃথক করে, তাই বিশেষ।
 .
বিশেষ পদার্থ স্বীকার না করলে একই রকম দুটি নিত্যদ্রব্যকে পৃথক করা যাবে না। ন্যায়-বৈশেষিক মতে নিত্যদ্রব্যগুলি হলো- পৃথিবী, জল, বায়ু ও তেজের পরমাণু এবং আকাশ, দিক, কাল, আত্মা ও মন। জাতি, গুণ, ক্রিয়া, অবয়ব প্রভৃতির দ্বারা দুটি অনিত্য দ্রব্যের পারস্পরিক ভেদ সিদ্ধ হয়ে থাকে। যৌগিক দ্রব্য তাদের অংশের পার্থক্যের জন্য পরস্পর ভিন্ন বলে স্বীকৃত হয়। তাদের পার্থক্য ব্যাখ্যা করার জন্য কোন বিশেষের প্রয়োজন হয় না। কেবল অংশহীন নিত্যদ্রব্যগুলির পৃথকত্ব ব্যাখ্যা করার জন্য বিশেষের প্রয়োজন। একটি পার্থিব পরমাণু ও একটি জলীয় পরমাণুর ভেদ তাদের গুণের ভেদের দ্বারা সম্ভব হয়। কিন্তু একটি পার্থিব পরমাণু ও অপর একটি পার্থিব পরমাণুর ভেদ কিংবা একটি জলীয় পরমাণু ও অপর একটি জলীয় পরমাণুর ভেদ তাদের অবয়ব বা গুণের দ্বারা সিদ্ধ হতে পারে না। কেননা পরমাণুগুলি নিরবয়ব এবং দুটি পার্থিব বা দুটি জলীয় পরমাণুর গুণও এক। প্রলয়কালে পরমাণুসমূহের জাতি, গুণ, ক্রিয়া প্রভৃতি সমান বলে ঐগুলির দ্বারা পরমাণুসমূহের ভেদ সিদ্ধ হতে পারে না। তাই দুটি পার্থিব বা দুটি জলীয় পরমাণুকে পরস্পর থেকে পৃথক করার জন্য বিশেষ পদার্থ অবশ্যস্বীকার্য।
 .
আবার বিশেষ দুটি নিত্যদ্রব্যকে ব্যাবৃত্ত বা পৃথক করে এবং অন্য বিশেষ থেকে নিজেকেও ব্যাবৃত্ত করে। এজন্য বৈশেষিকেরা বিশেষকে স্বতোব্যাবর্তক বলেছেন। অন্ত্যব্যাবর্তক হিসেবে বিশেষ সবার শেষে থাকায় বিশেষের কোন ব্যাবর্তক স্বীকৃত হয় না। বিশেষ অন্যান্য নিত্য দ্রব্যকে পরস্পর হতে পৃথক করে কিন্তু নিজেদের পরস্পর হতে পৃথক করবার জন্য বিশেষের কোন কিছু প্রয়োজন হয় না। বিশেষ কেবল ব্যাবৃত্তিবুদ্ধির বা ভেদের হেতু। এই বিশেষ প্রতিটি নিতদ্রব্যে থাকে। একটি বিশেষ একটি নিত্যদ্রব্যেই থাকে। অসংখ্য নিত্য দ্রব্যে যে অসংখ্য বিশেষ পদার্থ ব্যাবৃত্তি বা ভেদক ধর্মরূপে বিদ্যমান, তারাও আবার পরস্পর থেকে ভিন্ন। কিন্তু দুটি বিশেষের পারস্পরিক ভেদ উপপন্ন করার জন্য বিশেষের আর বিশেষ স্বীকার করা হয় না। কারণ এক্ষেত্রে এই ভেদ উপপত্তির জন্য বিশেষ স্বীকার করলে অনবস্থা দোষ হতো। অর্থাৎ বিশেষগুলি যদি তাদের স্বগত ভেদের জন্য অন্য বিশেষের অপেক্ষা করতো, তাহলে সেই বিশেষগুলিও আবার তাদের স্বগত ভেদের জন্য অন্য বিশেষের অপেক্ষা করতো। এইভাবে অনবস্থা দোষ দেখা দিতো। এই জন্যই ন্যায়-বৈশেষিকরা বিশেষকে স্বতোব্যাবর্তক বলেছেন। অর্থাৎ বিশেষ নিজের স্বরূপবশতই অন্যান্য সকল পদার্থ থেকে ভিন্ন। বস্তুত বিশেষ অন্য বিশেষ বা অন্য ধর্মকে অপেক্ষা করে অন্য পদার্থ থেকে ব্যাবর্তিত হয় না বলেই এই বিশেষকে অন্ত্য-বিশেষ বলা হয়। নিত্যদ্রব্যে সর্বদা সমবেত অর্থাৎ সমবায় সম্বন্ধে থাকে বলে বিশেষও নিত্য। বিশেষকে প্রত্যক্ষ করা যায় না। অনুমানের মাধ্যমেই তা সিদ্ধ হয়।
 .
বিভিন্ন নিত্যদ্রব্যে ভিন্ন ভিন্ন বিশেষ স্বীকার করা হলেও বিশেষের অনুগত ধর্ম বিশেষত্বকে জাতি বলা হয় না। বিশেষত্বকে জাতি বলে স্বীকার করলে রূপহানি ঘটে। অর্থাৎ বিশেষের স্বরূপহানি হয়। বিশেষত্ব জাতি হলে তার দ্বারাই বিভিন্ন বিশেষ পৃথক হয়ে যাবে। ফলে বিশেষের স্বতোব্যাবর্তকত্ব রূপের হানি হবে। তাই কিরণাবলীকার উদয়নাচার্য বিশেষের লক্ষণের ব্যাখ্যায় বলেছেন-

‘নিঃসামান্যত্বে সতি একদ্রব্যমাত্রসমবেতত্বম্’। (কিরণাবলী)।
অর্থাৎ : সামান্যবর্জিত এবং একটিমাত্র নিত্য দ্রব্যে সমবেত পদার্থগুলিই হলো বিশেষ।
 .
যেহেতু বিশেষ জাতিশূন্য, সেহেতু বিশেষ গুণস্বরূপ নয়। এ কারণে কিরণাবলী গ্রন্থে আচার্য উদয়ন আরো বলেছেন- অত্যন্তব্যাবৃতি বুদ্ধির হেতু হয়, অনুগত বুদ্ধির হেতু হয় না বলে বিশেষ বিশেষই, বিশেষ সামান্য নয় বা অন্য পদার্থের অন্তর্গতও নয়। প্রত্যেকটি বিশেষ হলো অনুপম পদার্থ এবং যা অনুপম তাই স্বতোব্যাবর্তক।
.
বিশেষ ও সামান্য উভয়ই নিত্য পদার্থ। বিশেষের সাথে সামান্যের পার্থক্য হলো, অত্যন্তব্যাবৃতি-বুদ্ধির হেতু বিশেষ কেবল একটি নিত্য দ্রব্যকে আশ্রয় করে থাকে। কিন্তু অনুগত-বুদ্ধির হেতু সামান্য এক জাতীয় বহু দ্রব্যকে আশ্রয় করে থাকে। বিশেষের আশ্রয় দ্রব্যগুলি যেমন নিত্য, বিশেষ নিজেও তেমনই নিত্য পদার্থ।

(চলবে…)

[আগের পর্ব: সামান্য] [*] [পরের পর্ব: সমবায়]

No comments: