.
| চতুষ্পদী কষ্টগুলো…|৭৬-৮০|
রণদীপম বসু
…
(৭৬)
এ কোন্ বিচ্ছুরণে ঝলসে গেলো চোখ ! না কি চোখের অসুখ ?
চোখেরই বা দোষ কী আর,
অভ্যস্ত ছিলো না বলেই বোঝেনি সে-
এ আলোর উৎস তোমার হৃদয় ঝলকানো বুক !
(৭৭)
নদীকে ভেবেছি নাহয় বৃক্ষ এতোকাল, তাতেই বিষণ্ন তুমি !
তোমার ওই বৃক্ষদেহ চায়নি কি নদী হতে কখনো এমন ?
আমি যে শেকড়হীন তুমি তো জানতেই তা, তবু বলবে কি-
এ-বুকে শিকস্তির দাগ দেখে সে-কোন্ আশঙ্কায় কেঁপে চমকালে হঠাৎ !
(৭৮)
মাটিকে অবজ্ঞা করে উড়ছো তো বেশ !
দেখেছো হিসাব কষে- কতোটা আকাশ থাকে মাথার উপর ?
অভিবাসী মন জানে, জীবনের জলস্রোত দিগন্ত-বিসারী হলে
একটুকু মাটির খোঁজে তামা তামা হয়ে যায় সোনার নোঙর !
(৭৯)
হাত খোলে নিয়েই তো গেলে শুধু যে-যা দিয়েছে সব !
বুঝলে না এর কতোটা তোমার, কিংবা কতটুকু প্রাপ্য ছিলে তার ?
ফিরিয়ে দেবার কালে বুঝবে ঠিকই- সব দানই দেনাময়,
বিনিয়োগ-শূন্য হাতে শোধের অংক কষেই কাটাবে জীবন !
(৮০)
মাস্তুলে বেঁধেছি চোখ দূরবীণ করে, কতদূর যাবে যাও !
পাটাতনে শয্যা পেতে মেখেছি আঘ্রাণ, আর
অজর বৈঠা হাতে গলুই-জীবন-
তোমার নামেই কন্যা ভাসালাম নাও !
…
(চলবে…)
…
[৭১-৭৫] [*] [৮১-৮৫]
…
| চতুষ্পদী কষ্টগুলো…|৭৬-৮০|
রণদীপম বসু
…
(৭৬)
এ কোন্ বিচ্ছুরণে ঝলসে গেলো চোখ ! না কি চোখের অসুখ ?
চোখেরই বা দোষ কী আর,
অভ্যস্ত ছিলো না বলেই বোঝেনি সে-
এ আলোর উৎস তোমার হৃদয় ঝলকানো বুক !
(৭৭)
নদীকে ভেবেছি নাহয় বৃক্ষ এতোকাল, তাতেই বিষণ্ন তুমি !
তোমার ওই বৃক্ষদেহ চায়নি কি নদী হতে কখনো এমন ?
আমি যে শেকড়হীন তুমি তো জানতেই তা, তবু বলবে কি-
এ-বুকে শিকস্তির দাগ দেখে সে-কোন্ আশঙ্কায় কেঁপে চমকালে হঠাৎ !
(৭৮)
মাটিকে অবজ্ঞা করে উড়ছো তো বেশ !
দেখেছো হিসাব কষে- কতোটা আকাশ থাকে মাথার উপর ?
অভিবাসী মন জানে, জীবনের জলস্রোত দিগন্ত-বিসারী হলে
একটুকু মাটির খোঁজে তামা তামা হয়ে যায় সোনার নোঙর !
(৭৯)
হাত খোলে নিয়েই তো গেলে শুধু যে-যা দিয়েছে সব !
বুঝলে না এর কতোটা তোমার, কিংবা কতটুকু প্রাপ্য ছিলে তার ?
ফিরিয়ে দেবার কালে বুঝবে ঠিকই- সব দানই দেনাময়,
বিনিয়োগ-শূন্য হাতে শোধের অংক কষেই কাটাবে জীবন !
(৮০)
মাস্তুলে বেঁধেছি চোখ দূরবীণ করে, কতদূর যাবে যাও !
পাটাতনে শয্যা পেতে মেখেছি আঘ্রাণ, আর
অজর বৈঠা হাতে গলুই-জীবন-
তোমার নামেই কন্যা ভাসালাম নাও !
…
(চলবে…)
…
[৭১-৭৫] [*] [৮১-৮৫]
…
No comments:
Post a Comment