Saturday, December 19, 2009

| দুই-মেগাপিক্সেল…| রোড-টু-সিলেট-০৪ |



| দুই-মেগাপিক্সেল…| রোড-টু-সিলেট-০৪ |
- রণদীপম বসু


রোড-টু-সিলেট: পর্ব-[০১][০২][০৩][*]
সিলেট নামটা উচ্চারণের সাথে সাথে অনিবার্যভাবে চলে আসে হয়রত শাহজালাল (রঃ) আউলিয়া’র  নাম। পূণ্যার্থি ও পর্যটকদের ভিড়ে সারাক্ষণ সরগরম তাঁর মাজার বা দরগাহ্। একইসাথে ধড়িবাজ, ফক্কর ও মাদকাসক্ত আউলা-ঝাউলা লোকদেরও আগাগোনা এখানে। এবং এই শাহজালাল মাজারকে ঘিরে গড়ে উঠেছে একটা জমজমাট ব্যবসাস্রোতও। সিলেটে দরগাহ বললে একডাকে সবাই যাকে চিহ্ণিত করে, হযরত শাহজালাল (রঃ)-এর মাজার বা দরগাহ।
৪৪.
দরগা-গেইট এলাকা দিয়ে ঢুকলে সিলেট হযরত শাহজালাল (রঃ) মাজারের প্রধান গেইটটাকে এরকমই দেখা যায়।

৪৫.
গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকে পেছন ফিরলে মাজারের অভ্যন্তরভাগ থেকে গেটটার একাংশকে এমনই মনে হবে।

৪৬.
মাজারের ভেতরে একটু দূর থেকে গেটের একাংশ এরকম, বাইরে থেকে যা বুঝার উপায় নেই।

৪৭-৪৮.
সিলেট হযরত শাহজালাল (রঃ) মাজার-মসজিদ।


৪৯-৫০.
মাজারের মসজিদের পাশ দিয়ে উঠে যাওয়া সিঁড়ি ডিঙিয়ে উঠে গেলে সামনেই হযরত শাহজালাল (রঃ)-এর মূল মাজার বা সমাধিস্থল।


৫১-৫৫.
হযরত শাহজালাল (রঃ) মাজার এলাকা।





৫৬.
আশা-পূর্ণের তাড়নায় অনেকেই অনেক ধরনের ইচ্ছা বা মানত নিয়ে মাজারে আসেন। এই বিশাল ভাণ্ডগুলো প্রতিদিন কত মানুষের অগুনতি মানত জমা করে রাখে টাকার অংকে !

৫৭.
শাহজালাল মাজারের বিখ্যাত পুকুর, একদিন যা বৃহদাকৃতির সব গজার মাছে গিজগিজে পরিপূর্ণ ছিলো। মাজারে আগত পূণ্যার্থিরা ছোট ছোট মাছ  ছুঁড়ে দিতো গজারের খাবার হিসেবে। সেগুলো স্মৃতিই হয়তো। একটা গজারও দেখা পাওয়া যায়নি এবার। তবে চোর-ছেঁচড়ের উৎপাত বেড়েছে তা সাবধানবাণী থেকেই বুঝা যায়।

৫৮-৫৯.
হযরত শাহজালাল (রঃ)-এর নাম ধারণ করে রাখা ‘জালালি কবুতর’। তাদের জন্য বিছিয়ে রাখা ধান, পরম নিশ্চিন্তে খুটে খুটে মুখে তুলছে।

৬০.
কত আর খাওয়া যায় ধান ! পাখি বলে কি তৃষ্ণা নেই !

৬১.
অতঃপর আয়েশ করে একটু জিরিয়ে নেয়া।

৬২.
মাজার দর্শন শেষে ফিরে যাওয়া যার যার ঠিকানায়…।

৬৩.
হযরত শাহজালাল (রঃ)-এর নামের সাথে যে নামটি মিথ কিংবা ঐতিহাসিক কারণে চলে আসে তা হলো রাজা গৌড় গোবিন্দ-এর নাম। হযরত শাহজালালের মাজার থেকে অনতিদূরে সেই গৌড় গোবিন্দের টিলা নামের ঐতিহ্যবাহী এলাকাটা এখন সিলেট জেলাজজের সরকারি বাসভবন, যা কঠোরভাবে সংরক্ষিত এলাকা। তাই মূল স্থাপনা বা বাড়িটা দুই-মেগাপিক্সেলের জন্য অধরাই থেকে গেলো। শেষপর্যন্ত দুধের বদলে ঘোল হিসেবে টিলায় যাওয়ার প্রহরাধীন গেটটাই চোখ টাটালো কিছুক্ষণ।

৬৪.
মুহূর্তেই আমার তিন-তিনটি ঘণ্টা কেটে গেলো ! কত কিছু রয়ে গেলো সিলেট জুড়ে ! স্মৃতির ভার আর নিঃশব্দ কোলাহল নিয়ে কেবলই স্মৃতির সিঁড়ি-ভাঙা…
হয়তো আবারো একদিন আসতে হবে এই অসমাপ্ত স্মৃতি খুঁড়তে।

No comments: