Wednesday, March 24, 2010

| ঘড়ায়-ভরা উৎবচন...|১৬১-১৭০|

| ঘড়ায়-ভরা উৎবচন...|১৬১-১৭০|
-রণদীপম বসু
...
(১৬১)
মুখে যে বেশি হাসে, তার মনেই বেশি ব্যথা;
যে হাসতে জানে না, সে কাঁদতেও পারে না।

(১৬২)
জ্যোৎস্নার অনুভবে কোনো উল্লাস থাকে না, থাকে মগ্নতা;
কষ্টগুলো জেগে ওঠে বলেই জ্যোৎস্না এতো মোহময়।

(১৬৩)
চাকুরিজীবী দুই ধরনের-
এক দলে থাকে চাকুরিকে জীবিকা করে যে খায়;
আর অন্য দলে চাকুরিকে খাওয়াই যার জীবিকা।



(১৬৪)
কী, কেন, কিভাবে ?
এই তিনটি প্রশ্নের যথাযথ উত্তর যিনি দিতে জানেন তিনিই বিজ্ঞ।

(১৬৫)
ধর্মচর্চা মানুষকে বন্দী করে, চিন্তাচর্চা দেয় বন্দীত্বের মুক্তি।
প্রচলিত ধর্মগুলো আপাদমস্তক মুক্তচিন্তা বিরোধী বলে
সৃজনশীল মানুষের কোন সুযোগ নেই ধর্মের খোয়াড়ে ফিরে যাওয়ার।

(১৬৬)
মানুষ হচ্ছে এক চলমান কথামালা;
যতক্ষণ তা সংরক্ষণ ও চর্চায় থাকে ততক্ষণই মানুষ অমর।

(১৬৭)
যা কিছু নিজের বিকল্প হয়ে ওঠে, মানুষ তা ঘৃণা করে;
কিন্তু তার প্রয়োজন মানুষের কাছে কখনোই ফুরায় না।

(১৬৮)
বস্তুগত বিনিময় প্রক্রিয়ায় কোন সৌন্দর্য নেই।
মুদ্রার সৌন্দর্য হচ্ছে তার ধ্বংস প্রক্রিয়ায়;
এই প্রক্রিয়ার সর্বোচ্চ সৌন্দর্যের নাম সেবা।

(১৬৯)
বন্দীত্ব মানুষকে মুক্তিপ্রয়াসী করে তোলে।
তাই মুক্তির আস্বাদন পেতে প্রতিটা মানুষকে কিছুকাল
বন্দীত্বের বেড়াজালে আটকে রাখা উচিত।

(১৭০)
ট্রাফিক জ্যামে আটকে থাকা ভাবুকদের জন্য আশির্বাদ;
এমন পিছুটানহীন ভাবনার সুযোগ আর কিছুতেই হয় না।
ঢাকা নগরী ভাবুকদের স্বর্গভূমি !

...
[১৫১-১৬০][*][১৭১-১৮০]
...
[ sachalayatan ]
... 

No comments: